হাটহাজারীতে সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে চরম বিরোধের জেরে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছে এক সংসারের সন্তানরা। অপর সংসারের সন্তানেরা লাশ দাফন করতে চাইলেও তাদের সম্পত্তি লিখে না দেওয়া পর্যন্ত দাফন করতে দিচ্ছে না সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত সন্তানেরা।
হাটহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের ফটিকা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পূর্ব মেখল ৫নং ওয়ার্ডের মরহুম দানা মিয়া সওদাগরের বাড়ির মৃত নকশু মিয়ার বড় পুত্র ও হাটহাজারী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মো. সেকান্দর (৭০) গতকাল শনিবার সকাল ৬টা দিকে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি দুই সংসারে মোট ৮ সন্তান রেখে গেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর আগে সেকান্দর মিয়া তার সব সম্পত্তি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার সন্তানদের নামে হেবা রেজিস্ট্রি করে দেন। এ নিয়ে প্রথম সংসারের পাঁচ সন্তান এবং দ্বিতীয় সংসারের তিন সস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বাবার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানরা দাফনের আয়োজন করলে প্রথম স্ত্রীর সন্তানরা এতে বাধা দেয়। তারা সম্পত্তি সুষ্ঠু ভাগ বন্টন না হওয়া পর্যন্ত মরদেহ দাফন করতে দিবেন না বলে ঘোষণা দেন।
সেকান্দর মিয়ার লাশ ফ্রিজার গাড়িতে ছত্রিশ ঘন্টা পর্যন্ত ঘরের সামনে রাখা ছিল। প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের দাবি তাদের সম্পত্তি লিখে না দেওয়া পর্যন্ত তাদের পিতার লাশ দাফন করতে দিবে না। সেকান্দার মিয়ার প্রথম স্ত্রীর মেয়ে আয়শা বলেন, বাবা আমাদের প্রাপ্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করে সব তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তাদের দিয়ে গেছেন। আমরা এটার উপযুক্ত ভাগ চাই। অপর দিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ইমতিয়াজ জানান, বাবার লাশ আগে দাফন করা হোক। এরপর পরে আমার বৈঠকে বসে সমাধান করবো।
ঘটনার খবর পেয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশের এস আই জালাল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করেন বলে জানান।
এদিকে বেলা চারটা দশ মিনিটের দিকে এলাকার সংবাদকর্মী রেজাউল মিন্ঠু জানান, থানা পুলিশ সহ উভয় পক্ষের সাথে বসে একটা স্টাম্প করা হয়েছে। মৃতদেহ দাফনের পর সম্পত্তির সুষ্ঠু সমাধানের লক্ষ্যে বৈঠকে উভয় পক্ষ মিলিত হবেন। এবং আজ বাদে মাগরিব মরহুমের জানাযা নামাজের সময় ঘোষণা করা হয়। পরে মরহুমের গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।












