চট্টগ্রামে শুরু হলো বুস্টার ডোজ কার্যক্রম

অগ্রাধিকার পাবেন ফ্রন্টলাইনার ও ষাটোর্ধ্বরা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:২৫ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। গতকাল মঙ্গলবার মহানগরের সিটি কর্পোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্র এবং জেলার পটিয়া, কর্ণফুলি ও সীতাকুণ্ড উপজেলায় এ বুস্টার ডোজ দেয়া হয়। প্রথম দিন সবমিলিয়ে ৩ শতাধিক টিকা গ্রহীতাকে বুস্টার ডোজ দেয়া হয়েছে বলে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে। বুস্টার ডোজ হিসেবে শুরুতে অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেয়া হয়েছে। এদিকে আজ বুধবার থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রেও বুস্টার ডোজ শুরু হচ্ছে। এ তথ্য নিশ্চিত করে জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, প্রথম দিন বুস্টার ডোজের জন্য আমরা একশ জনকে এসএমএস পাঠিয়েছি। এসএমএস প্রাপ্তদের সুরক্ষা ওয়েবসাইট থেকে টিকা কার্ডটি পুনরায় ডাউনলোডপূর্বক প্রিন্ট করে আনতে হবে। তাছাড়া বুধবার আরো বেশ কয়টি উপজেলায় বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। আর পর্যায়ক্রমে সবকয়টি কেন্দ্রে এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দিলেও সুরক্ষা ওয়েবসাইট আপডেট সম্পন্ন না হওয়ায় এতদিন বুস্টার ডোজ শুরুর নির্দেশনা দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওয়েবসাইট (সুরক্ষা) আপডেট সম্পন্ন হওয়ার পর অবশেষে গত সোমবার বুস্টার ডোজ শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়।
অবশ্য, প্রাথমিক পর্যায়ে সবাই এ বুস্টার ডোজ পাচ্ছেন না। প্রথমে ফ্রন্টলাইনার (সম্মুখ সারির যোদ্ধা) ও ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের বুস্টার ডোজ প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, যাদের এসএমএস পাঠানো হবে, তারা নির্ধারিত সময়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। এসএমএস না পেলে বুস্টার ডোজ নেয়ার সুযোগ নেই। অন্তত ৬ মাস আগে যাদের দুই ডোজ টিকা কমপ্লিট হয়েছে, এসএমএস প্রেরণের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। নতুন টিকা কার্ডে তৃতীয় (বুস্টার) ডোজের তথ্য লিপিবদ্ধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে বলে জানান তাঁরা।
সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, দিনে একটি কেন্দ্রে ১০০ জন প্রথম ডোজ গ্রহীতার বিপরীতে ২০ জনকে বুস্টার ডোজ দেয়া যাবে। অর্থাৎ প্রথম ডোজ ও বুস্টার ডোজের অনুপাত হবে ৫:১। সে হিসেবে ৫০০ জন প্রথম ডোজ গ্রহীতার বিপরীতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে ১০০ জনকে বুস্টার দেয়া হবে।
প্রাথমিকভাবে বুস্টার ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের নির্দেশনা রয়েছে। তবে যেসব কেন্দ্রে ফাইজারের টিকা প্রয়োগের সুযোগ নেই, সেসব কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাও দেয়া যাবে।
বুস্টার ডোজের বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, আমাদের কাছে ফাইজারের পর্যাপ্ত টিকা আছে। যদিও চট্টগ্রাম মহানগরে মাত্র তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকাদান চলছে। এই তিন কেন্দ্র চাইলে যে কোন সময় ফাইজারের টিকা দিয়ে বুস্টার ডোজ শুরু করতে পারবে। কিন্তু বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা প্রয়োগ করলে সেক্ষেত্রে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। আমরা মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকা টিকার জন্য ঢাকায় চাহিদা পাঠাবো। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এসব টিকাও চলে আসবে। তখন বুস্টার ডোজ হিসেবে মডার্না ও অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকাও প্রয়োগ করা যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকিছু অংশ ভাঙার পর পেরিয়েছে সপ্তাহ
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে প্রাইভেটকার থামিয়ে ডাকাতি আহত ৩