চট্টগ্রামে শব্দদূষণ–বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে, নেওয়া হচ্ছে না কার্যকর পদক্ষেপ। যানবাহনের অবাঞ্চিত হর্নের ব্যবহার–শব্দদূষণ ইত্যাদির কারণে চট্টগ্রামের জীবন ও পরিবেশ ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। অথচ, বন্ধ হচ্ছে না শব্দদূষণ–বায়ুদূষণ। এক্ষেত্রে, আমাদের অসচেতনতা অনেকাংশেই দায়ী। জীবিকার তাগিদে হোক কিংবা উন্নত জীবন যাপনের তাগিদে হোক, দেশের অনেক জায়গার মানুষ পাড়ি জমায় চট্টগ্রামে। যার ফলে দিন দিন নগরায়ণ ও শিল্পায়ন বেড়েই চলছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ভবন। এসব ভবন নির্মাণের সময় প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি ও ময়লা বাতাসে মিশে যায়। বায়ু দূষণ রোধ করতে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে রাস্তা ও ভবন নির্মাণের সময় নির্মাণ স্থানের চারপাশে অস্থায়ী বেষ্টনী বা চাওনি দিয়ে নেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এসব নিয়ম পালনের তোরজোর নেই বললেই চলে। ফলে আমাদের হাত ধরেই প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে বাতাস। ফলে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে আমাদের বেঁচে থাকার মহামূল্যবান উপাদান বাতাস। তাই আমাদের সবারই উচিত সময় থাকতে সচেতন হওয়া। আগামীর স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সচেতনতার আলো জ্বেলে আমাদের এগিয়ে যেতে সুস্থ, নিরাপদ, সবার বাসযোগ্য এক ঠিকানার গৌরবময় জীবনের আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হোক প্রিয় চট্টগ্রাম। এইজন্য, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এগিয়ে আসার আবেদন জানাচ্ছি।
এম. আবু সৈয়দ চৌধুরী
নিমতলা, বন্দর, চট্টগ্রাম।