বাংলাদেশে আবাসন খাতের অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সিপিডিএল। মেধা, শ্রম ও নান্দনিক নির্মাণ শৈলীর মাধ্যমে আবাসন ব্যবসায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এবার চট্টগ্রামের বিজনেস (বাণিজ্যিক) স্পেস এর বাজারে নতুনতর ধারণা প্রচলন করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের হাত ধরে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামে যাত্রা শুরু করলো সম্পূর্ণ আসবাবে সাজানো স্টুডিও অফিস। ‘অভিজাত ব্যবসায়িক ঠিকানা’ স্লোগানে নগরীর খুলশীতে ‘স্টুডিও অফিস’ ধারণাকে বাস্তবে রূপ দিতে কাজ করছে তারা।
খুলশী জাকির হোসেন রোডের আকর্ষনীয় লোকেশনে নির্মীয়মান ‘রহিম’স প্লাজা ডি সিপিডিএল’ ১৬ তলা ভবনের ৬ষ্ঠ তলার পুরো ফ্লোর জুড়ে ‘দ্যা প্লাজা স্টুডিও অফিস, ইওর এলিট বিজনেস এড্রেস’ গড়ে উঠছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিপিডিএলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রপার্টি মার্কেটে ভিন্নধর্মী ট্র্যাক নিয়ে খুলশীতে ‘দ্যা প্লাজা স্টুডিও অফিস’ এর মাধ্যমে চট্টগ্রামে বিজনেস স্পেস এর সাপ্লাই লাইনে নতুন ধারণা প্রবর্তন করছেন তারা। সম্পূর্ণ আসবাবে সজ্জিত স্টুডিও অফিসগুলোতে দেশীয় কিংবা বহুজাতিক কোম্পানি, স্বতন্ত্র উদ্যোক্তা, ট্রেডিং কিংবা ইনডেন্টিং বিজনেস অফিস কিংবা বড় শিল্প গ্রুপের লোকাল লিয়াঁজো অফিস হিসেবেও নিজেদের ঠিকানা খুঁজে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
‘দ্যা প্লাজা স্টুডিও অফিস’ এ থাকছে ১০টি আলাদা বিজনেস স্টুডিও। সমন্বিত সুবিধাগুলোর মধ্যে ওয়ান স্টপ রিসেপশন, ওয়েটিং লাউঞ্জ, ৮ জনের কনফারেন্স রুম, ৪-৫ জনের ছোট্ট ডিলিং রুম, ড্রাই কিচেন, নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ওয়াশরুম, পিএবিএঙ সিস্টেম, সিসিটিভি ক্যামেরা, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ওয়াইফাইসহ থাকবে প্রিন্টার ও ফটোকপি সুবিধা পর্যন্ত। পর্যাপ্ত সারফেস পার্কিং এর সাথে বেসমেন্টেও কমার্শিয়াল স্পেস গ্রাহকদের পার্কিং সুবিধা রয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, নতুন নতুন ধারণা বাজারে নিয়ে আসায় সিপিডিএল এর ঐতিহ্য সর্বজনবিদিত। ক্রিমসন ক্লোভার প্রকল্পের মাধ্যমে স্টারক্লাস লাইফস্টাইল প্রপার্টি ধারনা চট্টগ্রামে সিপিডিএল-ই প্রথমে নিয়ে আসে। আবাসন খাতে ধারণাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠে। পাথরঘাটায় হস্তান্তরিত সিকিউরড কমিউনিটি লিভিং ডাউনটাউন সিপিডিএল তাদের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প। সাম্প্রতিককালে চলমান সিপিডিএল সুলতানা গার্ডেনিয়া নগরীর দেবপাহাড় এলাকার সবুজ ঐতিহ্যকে অনন্যসাধারণ রূপে উপস্থাপন করছে। চট্টগ্রামে লাইফ স্টাইল প্রপার্টির বিষয়টিকে জনপ্রিয় করার প্রথম উদ্যোগও ছিল সিপিডিএল এর।
এভাবেই চট্টগ্রামবাসীর জন্য বিশ্বমানের নতুন নতুন রিয়েল এস্টেট সলিউশন নিয়ে আসার ধারাবাহিকতা থেকে সিপিডিএল এর ‘দ্যা প্লাজা স্টুডিও অফিস’ ধারণা। উন্নত বিশ্বে এই ধারা অনেক আগে থেকে প্রচলিত হলেও চট্টগ্রাম নগরীর বিজনেস স্পেস সাপ্লাই চেইনে এর মাধ্যমেই সর্বপ্রথম এই কনসেপ্টের সংযোজন ঘটতে যাচ্ছে।
স্টুডিও অফিসের ধারণা সম্পর্কে সিপিডিএল কর্মকর্তারা বলেন, ‘একটি অফিস সাধারণত বেসিক সিটিং স্পেস এর পাশাপাশি রিসেপশন, কনফারেন্স, ওয়েটিং লাউঞ্জ ইত্যাদি নানাধরনের অবস্থিতির সমন্বয়ে গড়ে উঠে। যার পুরোটা সব সময়ই হয়তো ব্যবহার হয়না। আনুষঙ্গিক স্থানগুলো অংশীদার ভিত্তিতে সময় ও প্রয়োজন সাপেক্ষে ব্যবহৃত হয়, ফলে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু স্পেস নিয়েই গড়ে উঠে অফিসটি। পরিচালন ব্যয় সকলের মাঝে আনুপাতিক হারে বন্টিত হওয়ার ফলে ব্যয়হ্রাস ঘটে উল্লেখযোগ্যহারে। তাই সারাবিশ্বে স্টুডিও অফিসের ধারণা দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে নান্দনিক ও আকর্ষনীয় লোকেশন খুলশীকে বিবেচনায় নেয়ার কারন হিসেবে উল্লেখ করে সিপিডিএল কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগস্থল এই খুলশী, ফলে এই লোকেশনটির নানবিধ সংযোগ সুবিধা রয়েছে। প্রকল্পটির কমার্শিয়াল অংশের স্ট্রাকচারাল কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শীঘ্রই ফিনিশিং ও ফার্নিশিংয়ের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ফলে এখানে একটি অফিস নিতে পারা মানেই নতুন ধারণার প্রথম অংশীদার হওয়া।
প্রসঙ্গত, ‘রহিমস প্লাজা ডি সিপিডিএল’ হচ্ছে ১৬ তলা ভবন। ১ম থেকে ৭ তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক স্পেস, ৮ তলা থেকে ১৪ তলা পর্যন্ত রেসিডেন্সিয়াল অ্যাপার্টমেন্ট। বাণিজ্যিক স্পেসের ৬ষ্ঠ তলা জুড়ে রয়েছে প্লাজা স্টুডিও অফিস।’