চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের গতকালকের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়। খবর বাসসের।
এতে বলা হয়, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর সাত ল্যাবে গতকাল চট্টগ্রামের ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ৩ জনই শহরের বাসিন্দা। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৬ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৩ হাজার ৮৯৭ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৮৯৯ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জন হয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৭ জন ও গ্রামের ৬৩০ জন। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৬টি নমুনা পরীক্ষা করে শহরের ২টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় একজন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ১৪, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৪, এপিক হেলথ কেয়ারে ৫, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৮ ও এভারকেয়ার হসপিটালে ২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ছয় ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত ৩৮ নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ও ল্যাব এইডে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, বিআইটিআইডিতে ১০ ও শেভরনে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং চমেকহা, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতাল ল্যাবে ০ শতাংশ।