জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এখনো পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা না এলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি শুরু করেছে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিস। জেলা পর্যায়ে জাতীয় নির্বাচনের আগের ভোটকেন্দ্রগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে তার সঠিক তালিকা তৈরি করে জেলা অফিসে পাঠানোর জন্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রামের ১৫টি উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মোট ১৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৯৮টি। বুথের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৮৩টি। গত নির্বাচনে চট্টগ্রামে ১৫ উপজেলায় ৫৮টি ভোটকেন্দ্র ও ৮১৬টি ভোটকক্ষ বেড়েছিল। ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্নজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধি করা হয়েছিল বলে জানান জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। এবারও ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি উল্লেখ করেছেন। ১৮ জুলাই খেলাফত মজলিশের সঙ্গে সংলাপে তিনি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ কিংবা ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতির ব্যাপারে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. কামরুল আলম আজাদীকে বলেন, এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো নির্দেশনা পাইনি। তারপরও নিজেদের থেকে চট্টগ্রামে সংসদীয় আসনগুলোর সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রগুলো প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করতে থানা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আগের ভোটকেন্দ্রগুলো ঠিকমতো আছে কিনা তা পরিদর্শন করে তালিকা প্রস্তুত করে জেলা অফিসে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে যেসব স্থানে ভোটকেন্দ্র ছিল সেসব স্থানে ভোটকেন্দ্রগুলো আছে কিনা, ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ আছে কিনা, কোথাও কোনো বিল্ডিং ভেঙে ফেলা হয়েছে, ভোটার বেড়েছে কিনা, আগের সম্ভাব্য কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছি। তাহলে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে।