চট্টগ্রামে করোনা কেড়ে নিয়েছে ১৩ চিকিৎসক ও ১০ পুলিশের প্রাণ

| বৃহস্পতিবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫৯ জনের। এর মধ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৩ চিকিৎসক ও ১০ পুলিশ সদস্যের। গত ২৫ মে ভোরে চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাসে প্রথম মৃত্যুবরণ করেন ডা. এস এম জাফর হোসাইন রুমি। ৩ জুন দুপুরে চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক এবং মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. এহসানুল করিম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ৪ জুন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. মহিদুল হাসান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ১২ জুন রাতে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান আরেক চিকিৎসক ডা. আরিফ হাসান। ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখতেন তিনি। একদিন পর ১৪ জুন উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রামের জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমান। এছাড়া ১৭ জুন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করেন ডা. নুরুল হক। ২১ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়ে নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ প্রবীণ চিকিৎসক ডা. ললিত কুমার দত্ত এবং একদিন পর ২৪ জুন মারা যান চট্টগ্রামে প্রথম প্লাজমা থেরাপি নেওয়া চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সমিরুল ইসলাম। ২৪ জুন দিবাগত রাতে ডা. শহিদুল আনোয়ার নামে আরও এক প্রবীণ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। ২৬ জুন রাতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অবসরপ্রাপ্ত মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ হোসেন মারা যান। গত ১৪ জুলাই দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৩৪ বছর বয়সী চিকিৎসক সুলতানা লতিফা জামান আইরিন। গত ৩ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ডা. মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী (তসলিম) এক চিকিৎসকের। তিনি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের (চমেক) অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সর্বশেষ গত ২১ ডিসেম্বর ভোরে বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের কোভিড শনাক্তকরণ আরটিপিসিআর ল্যাবের চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ হাসান মুরাদ। খবর বাংলানিউজের।
অন্যদিকে গত ১৫ মে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের বন্দর জোনের কনস্টেবল নঈমুল হকের মৃত্যু হয় করোনায়। ১৫ দিন পর ৩০ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান সিএমপির বিশেষ শাখার আরেক কনস্টেবল গোলামুর রহমান। ১ জুন মারা যান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) বিভাগের কনস্টেবল মামুন মিয়া। তিনদিন পর ৪ জুন হালিশহর থানার পুলিশ কনস্টেবল নেকবার হোসেন এবং চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কনস্টবেল মোখলেসুর রহমান মারা যান। ৬ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার এসআই আকরামুল ইসলাম, ২৩ জুন জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর আলম, ১ জুলাই সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল আ ফ ম জাহেদ, ১৩ জুলাই করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মিজানুর রহমান এবং ২৫ ডিসেম্বর জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় জাহিরুল ইসলামের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাসিরউদ্দীন চৌধুরী সিএলএফ চেয়ারম্যান নির্বাচিত
পরবর্তী নিবন্ধমাতারবাড়ি চ্যানেল ঝুঁকিমুক্ত করতে বিপিসির নতুন ব্যয় ৩৬০ কোটি টাকা