চট্টগ্রামে আরও ৭ জনের মৃত্যু

নতুন শনাক্ত ৩০২

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে করোনার ছোবলে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে জেলার ৩ জন, ৪ জন নগরীর বাসিন্দা। এ নিয়ে গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১৩ দিনে মোট ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান আজাদীকে গতকাল শনিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি চট্টগ্রামে নতুন ৩০২ জন শনাক্ত হয়েছে। ১ হাজার ২৬টি নমুনা পরীক্ষায় এ ৩০২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষাকৃত নমুনায় ২৯.৪৩ শতাংশের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে এদিন। নতুন শনাক্ত ৩০২ জনসহ চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৬৮২ জনে। এর মধ্যে মহানগরীর বাসিন্দা ৩৭ হাজার ৪৪১ জন ও জেলার ৯ হাজার ২৪১ জন। আক্রান্তদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে মহানগরীর ৩৩৩ জন ও জেলার ১১৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৬টিসহ এ পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে ৪৬ হাজার ৬৮২ জনের। হিসেবে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্তের গড় হার ১২.১২ শতাংশ। নতুন ৮১ জনসহ এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ২১৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ হাজার ৭৯৬ জন। অন্যদিকে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩০ হাজার ৪২০ জন। হিসেবে আক্রান্তদের ৭৫.৪৩ শতাংশ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত ৩০২ জনের মধ্যে ২২৬ জন নগরী ও ৭৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে একজন রোগীও নেই। তবে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৩৬৪ জন রোগী। এখন পর্যন্ত বয়সভিত্তিক হিসেবে দশ বছরের কম বয়সী শিশুরাই করোনায় সবচেয়ে কম আক্রান্ত হচ্ছেন।
আর ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। দশ বছরের কম বয়সীরা ২.৫১ শতাংশ, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীরা ৬.৯৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা ১৯.৭১ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা ২৩.৫৬ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা ১৮.৫৪ শতাংশ, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীরা ১৫.২৫ শতাংশ ও ৬০ থেকে উর্ধ্বের বয়সীরা ১৩.৪৬ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকঠোর লকডাউন আরও বাড়ছে
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় দিনের মতো শতাধিক মৃত্যু