চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার জন্য দুই কোটি ৯২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে থোক বরাদ্দ হিসেবে এ অর্থ ছাড় করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছরে (২০২২–২০২৩) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে দেশের উপজেলাগুলোর জন্য উন্নয়ন সহায়তা থোক খাতে বরাদ্দ আছে ৬৫০ কোটি টাকা। খাতটির সাধারণ বরাদ্দের চতুর্থ কিস্তি বাবদ গত মাসে ৪৮১টি উপজেলার জন্য ছাড় করা হয় ৯৮ কোটি ৪৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলাও রয়েছে।
জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট প্রথম কিস্তি, ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় কিস্তি, চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করা হয়েছে। প্রতিটি কিস্তিতে চট্টগ্রামসহ দেশের উপজেলাগুলোর ছাড়কৃত অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি ৩১ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে। তবে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তিতে দুই কোটি ৫৪ লাখ ৭ হাজার টাকা করে এবং তৃতীয় কিস্তিতে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলো।
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা–২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার একই বিভাগের চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারকে দেয়া চতুর্থ অর্থ মঞ্জুরি প্রদান পত্রে কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করেন। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে ছাড়কৃত অর্থ প্রচলিত সরকারি বিধান ও ২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার বিভাগের জারিকৃত ‘উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা’ অনুসরণে উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে এবং উপজেলা পরিষদের পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার যৌথভাবে মঞ্জুরিকৃত অর্থের আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর–২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি–বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। বরাদ্দের অধীন অনুমোদিত স্কিম এবং প্রচলিত আর্থিক রীতি–নীতি অনুযায়ী ব্যয় নির্বাহ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট বিল দাখিলপূর্বক সরকারি তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ আহরণ করতে হবে। এছড়া মঞ্জুরিকৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে চালানযোগে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। ব্যয় বিবরণী আগামী ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার জন্য ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, আনোয়ারা উপজেলার জন্য ১২ লাখ ৯০ হাজার টাকা, বাঁশখালী উপজেলার জন্য ২০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা, বোয়ালখালী উপজেলার জন্য ১২ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, চন্দনাইশ উপজেলার জন্য ১৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা, ফটিকছড়ি উপজেলার ২৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা, হাটহাজারী উপজেলার জন্য ২০ লাখ ২২ হাজার টাকা, লোহাগাড়া উপজেলার জন্য ১৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা, মীরসরাই উপজেলার জন্য ২৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, পটিয়া উপজেলার জন্য ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জন্য ২০ লাখ ৭৬ হাজার টাকা, রাউজান উপজেলার জন্য ১৮ লাখ ৯১ হাজার টাকা, সন্দ্বীপ উপজেলার জন্য ২৫ লাখ ২১ হাজার টাকা, সাতকানিয়া উপজেলার জন্য ১৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার জন্য ২০ লাখ ২৪ হাজার টাকা ছাড় করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান, মঞ্জুরিকৃত অর্থ উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে।