একাদশ শ্রেণি ভর্তিতে ৩য় ধাপের ফল প্রকাশের পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় ২২ জানুয়ারি। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির নির্ধারিত সূচি অনুসারে গতকাল (২৬ জানুয়ারি) এই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়ে একাদশের ক্লাশ শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু চট্টগ্রামের সাড়ে ৮ হাজার (৮ হাজার ৬৪২ জন) শিক্ষার্থী এখনো ভর্তির বাইরে রয়ে গেছে।
এর মাঝে জিপিএ–৫ পাওয়া ৯১ জন শিক্ষার্থীও রয়েছে। তিন দফা আবেদন ও ফলাফলে ভর্তির জন্য কোন কলেজে মনোনয়ন পায়নি এসব শিক্ষার্থী। ভর্তির বাইরে থাকা এসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা এখন অনেকটা উৎকন্ঠায় দিন পার করছেন। আদৌ তারা কলেজে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে কী না, এ নিয়ে তাদের যত দুশ্চিন্তা। তবে কলেজ না পাওয়া এসব শিক্ষার্থী ফের আবেদনের সুযোগ পেতে পারে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। এক্ষেত্রে আগের মতো অনলাইনেই আবেদনের সুযোগ দেয়া হতে পারে শিক্ষার্থীদের। যদিও এ বিষয়ে জানতে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে এখনো ভর্তির বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের। ২৯ জানুয়ারি বা এর পরবর্তীতে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে জানাবে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটি।
এমন তথ্য জানিয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক আজাদীকে বলেন, চট্টগ্রাম ছাড়াও সারাদেশের শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এখনো ভর্তির বাইরে রয়ে গেছে। এসব শিক্ষার্থী নিয়ে আন্তঃবোর্ডও চিন্তা–ভাবনা করছে। কারণ, মন্ত্রণালয় ও আন্তঃবোর্ড সব শিক্ষার্থীর ভর্তি নিশ্চিত করতে চায়। কোন শিক্ষার্থী যাতে ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। ২৯ জানুয়ারির পর আন্তঃবোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে।
এখনো ভর্তির বাইরে থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের এই কয়দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে দুশ্চিন্তার কারণ নেই, সব শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে বলেও জানান চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জাহেদুল হক।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব–কমিটির তথ্য অনুযায়ী– চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন কলেজগুলোতে ভর্তির জন্য মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২৮ হাজার ৭৬৩ জন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১ম ও ২য় তালিকায় মনোনীতদের মাঝে ভর্তির প্রাথমিক নিশ্চায়ন করে ১ লাখ ১২ হাজার ১১৫ জন।
আর ৩য় ধাপের ফলাফলে মনোনীত হয় ৮ হাজার ৬ জন। সবমিলিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার ১২১ শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছে। বাকি ৮ হাজার ৬৪২ জন শিক্ষার্থীর কলেজ জোটেনি। এর মাঝে জিপিএ–৫ পাওয়া ৯১ জন শিক্ষার্থীও এই সময়ে ভর্তির বাইরে রয়ে গেছে।
