চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হলে বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড চট্টগ্রাম মৃত নগরীতে পরিণত হবে। চট্টগ্রাম মৃত নগরীতে পরিণত হলে বাংলাদেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই যেকোনো মূল্যে চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। ফয়’স লেক, সিআরবি, টাইগারপাস, জোড় ঢেবা, রেলওয়ে একাডেমি, জিলাপি পাহাড়, বাটালি হিল, আগ্রাবাদ ঢেবা, আমবাগানসহ সৌন্দর্যমণ্ডিত এসব জায়গা বর্তমানে রেলওয়ের দখলে রয়েছে। এসব জায়গা রেলের কাজে ব্যবহার করার কথা বলে অধিগ্রহণ করলেও বর্তমানে জায়গাগুলো রেলওয়ের কোনো কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। তাই এসব জায়গা রেলওয়ে বিভিন্ন অর্থলিপ্সু হায়েনার কাছে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, রেলের কর্তা ব্যক্তিরা যাত্রী সেবা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়ে রেলের সম্পত্তি হরিলুট করে তাদের পকেট ভারি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। তাদেরকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। গতকাল রোববার নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ এ অভিমত ব্যক্ত করেন। নাগরিক সমাজের কো-চেয়ারম্যান মো. ইউনুসের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রনেতা মাহমুদুল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কবি প্রফেসর হোসাইন কবির, নাগরিক সমাজের যুগ্ম সদস্য সচিব স্বপন মজুমদার, শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন কোহেল, নারীনেত্রী জেনিফার আলম, সাবেক ছাত্রনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, আহিল সিরাজ, জামশেদ আলম, যুবনেতা সাজ্জাদ হোসেন জাফর, মোস্তাফিজ উদ্দিন মাহিন, মো. সাকিব, প্রনব চৌধুরী, মায়মুন উদ্দিন মামুন প্রমুখ।
সঙ্গীত পরিবেশন করেন নায়ায়ণ দাশ। আবৃত্তি করেন কবি আবু মুসা চৌধুরী, কবি মিনু মিত্র ও আবৃত্তি শিল্পী বিপ্লব কুমার শীল।
