বাংলাদেশ জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতি চট্টগ্রাম (বিএনএসবি)’র ৪৪ ও ৪৫তম এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ট্রাস্ট (সিইআইটিসি)’র ৩৪ ও ৩৫তম বার্ষিক সাধারণ সভা গত ২৬ নভেম্বর পাহাড়তলীস্থ ট্রাস্টের ইমরান সেমিনার হলে বিকেল ৫টা ও ৭টায় ডা. কিউ এম ওহিদুল আলমের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেকের সভাপতিত্বে বিএনএসবি এবং সিইআইটিসির এই সভায় বিগত দিনে যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। সভায় বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন বিএনএসবির অবৈতনিক সাধারণ সম্পাদক, সিইআইটিসির ম্যানেজিং ট্রাস্টি, আইএইচএলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। নিরীক্ষা প্রতিবেদন পাঠ করেন ট্রেজারার মো. জাহাঙ্গীর আলম খান। মতামত দেন, এস এম মোরশেদ হোসেন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রমুখ। বক্তব্য দেন, অ্যাড. সৈয়দ সালাহ উদ্দিন, এস জোহা চৌধুরী, মো. শাহাজাহান, আবদুল করিম চৌধুরী, রাজীব সিনহা প্রমুখ। সভায় বিগত দিনে করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে বিএনএসবি চট্টগ্রামের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বতর্মান পরিষদকে পূর্বের ন্যায় কার্যক্রম অব্যহত রাখার ঘোষণার পাশাপাশি বৈধতা দেয়া হয়। একই সাথে আগামীতে যথাসময়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় চক্ষু চিকিৎসা সেবাকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরো ছড়িয়ে দিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন এই সেবা আরো সহজে রোগীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বছরে লক্ষ লক্ষ চক্ষু রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে থাকে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল। কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এত রোগীকে সেবা প্রদান করা একটি বিশাল কাজ বলে মনে করি।
ট্রাস্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এ মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই প্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি আমার আন্ততরিক কৃতজ্ঞতা রইল। বিশেষ করে যাঁরা জন্মলগ্ন থেকে বিরামহীন এবং নিরলসভাবে যোগ্য হাতে এই প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে আছেন। সভায় গত ২০১৯-২০ সালের সৎ, সততা ও কর্মদক্ষতায় স্বীকৃতস্বরূপ হাসপাতালের চারজনকে মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এরা হলেন, মো. নাসিমুল গণি চৌধুরী, তহুরা আক্তার, মো. মোশাররফ হোসেন ও স্বপন কুমার রায়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।











