চকরিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় নির্মাণাধীন বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালানোর অভিযোগে ৩০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। গত সোমবার দুপুরে উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহবধূ বিলকিছ সোলতানা। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে চকরিয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী ও মামলার কৌশলী মো. লুৎফুল কবির।
মামলার এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে পাঁচজনকে। তারা হলেন উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিয়ান গ্রামের নুরুচ্ছফা, গিয়াস উদ্দিন, কফিল উদ্দিন, আজম খান ও কামাল উদ্দিন। বাকি ২৫ জন অজ্ঞাত আসামি। বাদী বিলকিছ সোলতানা চকরিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার জাকির হোসেনের স্ত্রী।
মামলার এজাহারে জানা যায়, হাজিয়ান গ্রামে বিলকিছ সোলতানা ও তার স্বামীর ক্রয়কৃত জায়গায় বসতবাড়ির নির্মাণকাজ শুরু হলে আসামিরা দফায়-দফায় গিয়ে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেয়ে জায়গাটি দখলেরও চেষ্টা চালায়। এর জের ধরে গত ২০ মার্চ বিকেলে এক নারীর নেতৃত্বে অন্তত ৩০ জন সশস্ত্র লোক তাদের নির্মাণাধীন বাড়িতে গিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়, যার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এছাড়া বাদী বিলকিস সোলতানার অভিযোগ, বর্তমানে সন্ত্রাসীরা তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছেন। এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, নির্মাণাধীন বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় আদালতে করা অভিযোগটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।