চকরিয়ার নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনরা জানান, গত মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ওই শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে খুটাখালির তার মামার বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় একই এলাকার ফরেস্ট অফিস পাড়ার ডা. নুরুল আমিনের ছেলে রাশেদ বিন আমিন (২৫) তাকে ফুসলিয়ে চকরিয়া পৌরশহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে প্রথমে তাকে স্থানীয় দুটি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যায় রাশেদ। কিন্তু মেয়েটির অবস্থা মুমূর্ষু হওয়ায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। সেখানে প্রথমে সাধারণ ওয়ার্ডে এবং পরে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের পর পরই মেয়েটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। সে তখন থেকেই অজ্ঞান ছিল। গতকাল বুধবার বিকেল তিনটার দিকে জ্ঞান ফিরেছে। চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার মো. মোজাম্মেল হোসেন দৈনিক আজাদীকে জানান, ওই শিক্ষার্থীকে খুটাখালী থেকে ফুসলিয়ে অভিযুক্ত রাশেদ চকরিয়া পৌরশহরের একটি আবাসিক হোটেলের ৩১৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। ঘণ্টাখানেক পর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে দুটি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে যায়। তিনি আরো জানান, ধর্ষণের ঘটনায় শিশুর মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় গতকাল বুধবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় রাশেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে। তবে সে আত্মগোপনে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফ হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন। এই মামলার তদন্তে যদি আবাসিক হোটেলটির কারো যোগসাজস পাওয়া যায় তাহলে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
