কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংরক্ষিত বন থেকে গাছ কেটে নেওয়ার সময় বনবিভাগের গুলিতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম শহীদুল ইসলাম(১৯)। তিনি চকরিয়ার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরাখোলা গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
খবর পেয়ে পুলিশ বনবিভাগের লোকজনকে সাথে নিয়ে ওই ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের আওতাধীন খুটাখালী বনবিটের পাগলির বিল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
অবশ্য বনবিভাগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে গাছ কেটে নেওয়ার খবর পেয়ে সেখানে গেলে একদল বনদস্যু বনবিভাগের লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় পাল্টা গুলি ছোড়ে বনবিভাগও।
তবে স্থানীয় লোকজন দাবি করেছেন, বনবিভাগের সাথে সেখানে কোনো গোলাগুলির ঘটনাই ঘটেনি। মূলত বনবিভাগের লোকজনের গুলিতেই ওই ব্যক্তি নিহত হয়েছে।
এই বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোনে কল করা হয় খুটাখালী বনবিট কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলামকে কিন্তু তিনি ফোন না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চকরিয়া থানার অপারেশন অফিসার রাজীব চন্দ্র সরকার বলেন, “রবিবার দিবাগত রাতে সংরক্ষিত বনের ভেতর এক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে রয়েছে মর্মে খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ যায়। এ সময় বনবিভাগের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন।”
বনবিভাগের উদ্বৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, বনবিভাগ দাবি করেছে সেখানে সংঘবদ্ধ কাঠচোরের দলের সঙ্গে বনবিভাগের লোকজনের গুলি বিনিময় হয়। এ সময় গুলিতে একজন নিহত হয়। তবে সঠিক কার গুলিতে লোকটি নিহত হয়েছে তা পুলিশ তদন্ত করবে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, “এই বিষয়ে বনবিভাগ এবং নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে যদি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় তাহলে তদন্ত করে দেখা হবে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।”