কক্সবাজারের চকরিয়ায় পাহাড় সাবাড় করে ফেলার সংবাদ পেয়ে বাধা দিতে গেলে বনকর্মীদের ওপর চড়াও হয় পাহাড়খেকো চক্রের শতাধিক নারী-পুরুষ। এ সময় অভিযানে যাওয়া বনকর্মীদের কাছ থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। এতে দুই জন গুরুতরসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে আশপাশের কয়েকটি বিটের অতিরিক্ত বনকর্মী গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। বনবিভাগের রেকর্ডে ওই এলাকাটি কাকারা বনবিটের নিয়ন্ত্রণাধীন।
বনবিভাগ জানায়, পাহাড় সাবাড়ে বাধা দেওয়ার সময় ছিনিয়ে নেওয়া দুটি আগ্নেয়াস্ত্র পরবর্তীতে উদ্ধার এবং নদী তীরবর্তী পাহাড়ের পাদদেশে বসানো দুটি ড্রেজার ও পাইপ জব্দ করে বনবিভাগ।
হামলায় আহতরা হলেন- কাকারা বনবিট কর্মকর্তা ফরেস্টার কামরুল হাসান (৩২), ফরেস্ট গার্ড রুবেল মিয়া (৩০) ও জাহেদুল ইসলাম (৩৮), ভিলেজার নেজাম উদ্দিন (৫০) ও কলিম উল্লাহ (৩৬)। তদ্মধ্যে দুই ভিলেজার রক্তাক্ত জখম হয়।
আহত কাকারা বনবিট কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, বিটের নিয়ন্ত্রণাধীন পূর্ব কাকারা পাহাড়তলী এলাকায় পাহাড় সাবাড় করে মাটি বিলিন ও মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী পাহাড়ের পাদদেশে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যান তারা। এ সময় পাহাড়খেকো চক্রের শতাধিক নারী-পুরুষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে কর্মীদের ওপর। এ সময় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করা হলেও পরে তা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, পাহাড় সাবাড়ের সময় অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার বন-কর্মীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাহাড়খেকো চক্রের যারা বনকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িত তাদের শনাক্ত করে মামলা রুজু করা হবে।
