দেশের প্রথম রেল যোগাযোগের স্বাদ পেতে যাচ্ছে পর্যটন নগরবাসী। কিন্তু কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলাবাসী সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাবে। কারণ সারা পেকুয়াবাসীর আশা ছিল মছনিয়াকাটা রেলস্টেশন বাস্তবায়িত হবে। কিন্তু মছনিয়াকাটা রেলস্টেশন না হওয়ার ব্যাপারটা পেকুয়াবাসীর আমৃত্য দুঃখ হয়ে থাকবে। অথচ মছনিয়াকাটার উত্তরে ৫ কিলোমিটার দূরে হারবাং রেলস্টেশন ও দক্ষিণে ১৯ কিলোমিটার সাহারবিল রেলস্টেশন অবস্থিত।
মছনিয়াকাটা রেলস্টেশন বাস্তবায়িত হলে শুধু পেকুয়াবাসী নয় কুতুবদিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার একাংশ লোকও যাতায়াত সুবিধার সুফল পাবে। চকরিয়ার এই দুই স্টেশনে যেতে অনেক দূর দিয়ে ঘুরে রেল স্টেশন যেতে হবে যা রেল লাইন অতিক্রম করে যাওয়া লাগবে পেকুয়াবাসীর। প্রতিদিন কম করে হলেও চার থেকে পাঁচ হাজার লোক চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার যাতায়াত করে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলায় যাতায়াত করে। বাঁশখালী রোড সংকীর্ণ হওয়ায় অনেক সময় নষ্ট হয় পেকুয়া ও কুতুবদিয়াবাসীর। সরকারের এই মেগা প্রকল্পের সুফল থেকে পেকুয়াবাসী বাদ পড়বে কেন? কেন পেকুয়াবাসী এই রেলস্টেশন সেবা থেকে বঞ্চিত হবে? অতএব পেকুয়াবাসীর জন্য একটি সহজ রেলসেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মো:সায়েম
শিক্ষার্থী,
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,
চট্টগ্রাম কলেজ।