গ্রামীণ কল্যাণের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জালিয়াতি, ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ

| বৃহস্পতিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২০ at ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

গ্রামীণ ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণের অনুমোদনহীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জালিয়াতি করে প্রেসক্রিপশন দেয়া ও চিকিৎসার নামে প্রতারণা করায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সাতকানিয়ার বাসিন্দা ভুক্তভোগী শরীফুল ইসলামের পক্ষে চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক, গ্রামীণ কল্যাণ বৈলতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সেন্টার কো-অর্ডিনেটর হাসিবুর রহমান ও চন্দনাইশের বাসিন্দা শারমিন সুলতানা প্রমিকে নোটিশের ‘প্রাপক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ না দিলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
নোটিশে বলা হয়েছে, গ্রামীণ কল্যাণ বৈলতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জালিয়াতি করে দেয়া প্রেসক্রিপশন দিয়ে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উক্ত মামলার বিবাদী শরীফুল ইসলাম গত বছরের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন বরাবর একটি আবেদন করেন। সে আবেদন তদন্তে উঠে আসে গ্রামীণ কল্যাণ বৈলতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নানা অনিয়মের তথ্য। এতে উল্লেখ করা হয়, নারী নির্যাতন মামলা করার সময় উপস্থাপন করা উক্ত প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন মো. হাসিবুর রহমান। অথচ সেদিন শুক্রবার (১ নভেম্বর) ছুটির দিন হওয়ায় গ্রামীণ কল্যাণ বৈলতলী স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্বাভাবিক নিয়মে বন্ধ ছিল। যার কারণে রোগী রেজিস্ট্রারে ১ নভেম্বর কারও নাম পর্যন্ত উল্লেখ নেই। বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী মামুনুল হক বলেন, গ্রামীণ কল্যাণের অনুমোদনহীন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জালিয়াতি করে প্রেসক্রিপশন দেয়া ও চিকিৎসার নামে প্রতারণা করায় আমার মক্কেল শরীফুল ইসলামের আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি এবং মানহানি হয়েছে। এ কারণে গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশ প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ না দিলে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান অ্যাডভোকেট মামুনুল হক চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকটি গোষ্ঠী সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা চালাচ্ছে
পরবর্তী নিবন্ধসিলেট-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর আহ্বান