গোলাপ তার জন্যে ফোটে
সুশোভন পাতা বাঁকা-কাঁটার প্রহরায়
রূপ গন্ধ সৌন্দর্যে প্রস্ফুটিত
সাবধানে তুলে তাকে নিবেদনের মত্ত বাসনা জাগিয়ে !
গোলাপ হীরে সুষমা তার চোখে
গোলাপ দল-মন্ডলের আবর্ত তার ঠোঁটের হাসিতে
গোলাপ বর্ণ-বিভা জটিল বিচ্ছুরণ ফুটে উপমায়
সে যেন প্রত্যহ গোলাপ
তার গোলাপ হাতে পূর্ণিমার চাঁদ ম্রিয়মান।
এমন কোনো ইশারা ফুল আছে ইতিহাসে-
রঙের ঘূর্ণি-জাদু সুক্ষ্ম ভাষায় বিভাসিত !
‘সবুজ গোলাপ’ বৃতির অলংকরণে পারি দিতে-
সম্পর্কে তীব্র আকর্ষী নতুনত্ব স্থায়িত্ব চেয়ে,
‘গোলাপি গোলাপ’-বোঝাতে কামনা-রঙিন আনুগত্য,
‘বেগুনি গোলাপ’-আধা ফোটা আধা অবগুন্ঠিত
মর্মার্থে প্রথম চুম্বন প্রেম,
‘কমলা গোলাপ’-শুভ কামনা,
‘হলুদ গোলাপ’-রৌদ্রোজ্জ্বল অভিনন্দন বার্তা।
‘কালো গোলাপ’-নেই প্রকৃতিতে
শোকাবহ আঁধারে ফোটে না গোলাপ,
‘নীল গোলাপ’-নেই তেমনি
চায় না হতে বেদনা-মেঘসঙ্গী,
‘সাদা গোলাপ’-বিশুদ্ধতায় স্নিগ্ধ উজ্জ্বল,
‘লাল গোলাপ’ টকটকে বিকশিত গোপন কণ্টকে-
আমি তোমায় ভালোবাসি।
‘একটা গোলাপ’ রঙ্গন বসরার নিয়ে যাবো-
আমি-ই তার একমাত্র যোগ্য ভেবে, বা
‘একশ এক’-সংখ্যাতত্ত্বে গোলাপ পুষ্প ঝাড় রেখে
পাঁচ বা গুণিতকে বিন্যস্ত গোলাপ পাপড়ির
মোলায়েম আলো জ্বেলে-হৃদয় প্রস্তাব।
জীবাশ্ম ঘড়িতে তিন কোটি আশি লক্ষ বছর পূর্বে
উত্তর গোলার্ধে প্রথম উদ্গমন
প্রেমের দেবী ভেনাসের পায়ের রক্ত-জাত
ফুলের রাণি গোলাপ,
তাকে দেবো ভালোবাসা সুন্দরের প্রতীক
গোলাপ কুসুম,
কিন্তু কোন রঙের কয়সংখ্যক-
একশ পঞ্চাশ প্রজাতির গোলাপনামা ভাবতে ভাবতে
গেলো চলে ভ্যালেন্টাইন-ডে।