গোঁয়ারফাঁড়ি খালের বাঁধ অবশেষে অপসারণ

বৈধ চিংড়িঘের মালিকদের স্বস্তি

চকরিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৪৯ পূর্বাহ্ণ

চকরিয়া গোঁয়ারফাঁড়ি খালে দেওয়া মাটির বাঁধ অবশেষে অপসারণ করা হয়েছে। এতে স্বাভাবিকতায় ফিরেছে এই খালে পানি চলাচলের প্রবাহ। অবৈধভাবে চিংড়িঘের তৈরির উদ্দেশ্যে দেওয়া মাটির বাঁধটি অপসারণ করার খবরে স্বস্তি ফিরেছে তিন হাজার একর জমির বৈধ চিংড়িঘেরের মালিকদের মাঝে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ানের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মো. আবুল মনসুরের নেতৃত্বে গতকাল সোমবার সকাল দশটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত এই বাঁধ অপসারণ করা হয়। বাঁধ অপসারণে নিয়োজিত করা হয় অসংখ্য শ্রমিককে। বৈধ চিংড়িঘের মালিক ও মাতামুহুরী
সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলা দৈনিক আজাদীকে বলেন- পশ্চিম বড় ভেওলার ডেবডেবী, ফুলতলা এবং বদরখালী ইউনিয়নের সাতডালিয়া পাড়ার ওপর দিয়ে প্রবহমান এই গোঁয়ারফাঁড়ি শাখা খাল। সাড়ে তিন কিলোমিটারের শাখা খালটিতে পানি চলাচলে মাটির বাঁধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় অকেজোঁ হয়ে পড়ে উপকূলের পাঁচটি স্লুইচ গেট। এই খালের লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে তিন হাজার একর জমিতে চিংড়ি উৎপাদন এবং শুষ্ক মৌসুমে লবণ চাষ করে আসছেন অসংখ্য ঘের মালিক। কিন্তু খালটিতে মাটির বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং সরকারিভাবে লিজপ্রাপ্ত চিংড়িঘের মালিকদের মধ্যে।
বাঁধ অপসারণ সম্পন্ন করার পর পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. আবুল মনসুর দৈনিক আজাদীকে বলেন, ইউএনও স্যারের নির্দেশে পাঁচ ঘণ্টার চেষ্টায় মাটির বাঁধটি অপসারণ করা হয়েছে। বাঁধটি অপসারণ না হলে জেগে উঠা চরে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো প্যারাবন (কেউড়া, বাইন, গেওয়া) গাছও উপড়ে ফেলা হতো। এখন সেই গাছগুলোও রক্ষা পাবে।
ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, চকরিয়া সুন্দরবনের প্রবহমান গোঁয়ারফাঁড়ি খালে যারা মাটির বাঁধ দিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। অপসারণ পরবর্তী বাঁধ নির্মাণে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য- গত ৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজাদীতে ‘গোঁয়ারফাঁড়ি খালে ফের বাঁধ’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পর সেই বাঁধ অপসারণে উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরে সম্প্রীতি সমাবেশ করবে চসিক
পরবর্তী নিবন্ধসংরক্ষিত বনে গাঁজার চাষ!