নগরে সম্প্রীতি সমাবেশ করবে চসিক

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৩:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ধর্মীয় উগ্রবাদ, জঙ্গিবাদ, সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করার লক্ষে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি গঠন এবং নগরে সম্প্রীতি সমাবেশ করবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এ সম্প্রীতি কমিটি গঠন ও সম্প্রীতি সমাবেশ করার জন্য চসিককে নিদের্শনা দেয়।
এ বিষয়ে সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, আজকেই (গতকাল) চিঠি পেয়েছি। এ বিষয়ে প্রধান নির্বাহীকে দায়িত্ব দিয়েছি। কমিটিতে কারা থাকবেন এবং সমাবেশ কীভাবে করতে হবে তা তিনি বিস্তারিত জেনে নিবেন। তবে আমরা নগরবাসীকে সাথে নিয়ে সমাবেশ করবো। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক
সম্প্রীতির শহর চট্টগ্রাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের প্রতি আন্তরিক। তার আন্তরিকতায় টানেল, বে-টার্মিনালসহ নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে এ শহরে। কোনো সাম্প্রদায়িক শক্তি চক্রান্ত করে এ অগ্রযাত্রা রুখে দিতে পারবে না।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে গতকাল সোমবার সিটি মেয়রের কাছে দাপ্তরিক পত্র দেন। এতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার বিষয়টি উল্লেখ করে কমিটি গঠনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ এবং সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজন করতে বলা হয়।
এর আগে গত ২৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো পত্রে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনে সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি গঠন ও সম্প্রীতি সমাবেশ আয়োজনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এ নির্দেশনার কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। জেলা পর্যায়ের কমিটির আকার ২৩ সদস্য বিশিষ্ট। জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) হবেন সদস্য সচিব। সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদের প্রশাসক কমিটির উপদেষ্টা। পুলিশ সুপার সদস্য হিসেবে থাকবেন। উপজেলা পর্যায়ের কমিটির আকার ২৪ সদস্য বিশিষ্ট। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সভাপতি এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদস্য সচিব, স্থানীয় এমপি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে উপদেষ্টা করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির আকার ১৪ সদস্যের। ইউপি চেয়ারম্যান এ কমিটির সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটি নিজ নিজ এলাকায় সমপ্রীতি-সমাবেশ, উদ্বুদ্ধকরণ সভা, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে বিদ্যমান আন্তঃধর্মীয় সর্ম্পক ও সামাজিক বন্ধনকে সুসংহত রাখাসহ আসম্প্রদায়িক চেতনায় ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট থাকবে। ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করবে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসসহ সব ধর্মীয় উপসানালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে। সকল ধর্মীয় উৎসব যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় উদযাপনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে কাজ করবে এসব কমিটি। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মের শান্তি ও সৌহার্দের বাণী ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থা করবে কমিটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ত্রীর সাথে ঝগড়া নিজ ঘরে আগুন দিল স্বামী
পরবর্তী নিবন্ধগোঁয়ারফাঁড়ি খালের বাঁধ অবশেষে অপসারণ