গেটম্যান ও মাইক্রোবাস চালকই দায়ী

তদন্ত প্রতিবেদন পেশ ম মীরসরাইয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৮ আগস্ট, ২০২২ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেন ও মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফার দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। রেলওয়ের বিভাগীয় পর্যায়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এই দুর্ঘটনার জন্য দুজনকে দায়ী করা হয়েছে। অপরদিকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহা ব্যবস্থাপকের (জিএম) পক্ষ থেকে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি এখনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবুল কালাম চৌধুরী তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মীরসরাইয়ের ঘটনায় আমরা একটি (বিভাগীয় পর্যায়ে) তদন্ত কমিটি করেছি। এই কমিটির প্রধান রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আনসার আলী। আর একটি করেছেন জিএম। ঐ কমিটির প্রধান করা হয় রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরমান হোসেনকে। জানা গেছে, প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার জন্য প্রধানত লেভেল ক্রসিংয়ের দায়িত্বরত গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে দায়ী করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলেই মারা যাওয়া মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা নিরুকেও দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। দুর্ঘটনার দিন গঠিত এই তদন্ত কমিটি তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও ১৯ দিন পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। ঘটনার পর থেকে গেটকিপার সাদ্দাম হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। যেহেতু প্রতিবেদনে তার গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে সেজন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান কর্মকর্তারা। ওই দুর্ঘটনায় মাইক্রোচালক মোস্তফা ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। লেভেল ক্রসিংয়ের গেটকিপার সাদ্দাম হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আহত হন সাতজন। এই সাতজনের মধ্যে পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আরো দুইজনের। অপর আহতরা বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত নিহত সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার খন্দকিয়া গ্রামের আর এন্ড জে কোচিং সেন্টারের ছাত্র ও শিক্ষক। চালক-হেলপারসহ ১৮ জনের একটি দল শুক্রবার ছুটির দিন খৈয়াছড়া ঝরনায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ঘটে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাশকতা চালালে রাজপথেই সমুচিত জবাব
পরবর্তী নিবন্ধইমিগ্রেশন শেষ বিমানে ওঠার আগেই মৃত্যু