গৃহকরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি

| শনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়ার সাথে গ্যাসবিদ্যুৎপানির মূল্যবৃদ্ধির দৌঁড়ে নগরবাসী যখন ক্লান্ত তখন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘাহিসেবে কয়েকশ গুণ হোল্ডিং কর বৃদ্ধি করে নগরবাসীকে এক নরক যন্ত্রণায়নিক্ষেপ করেছে।

 

 

নগরীর প্রতিটি ভবন মালিকরা ভুগছেন ভাড়াটিয়ার খরায়। নগরীর অলিগলির এমন কোনো ভবন নেই যেখানে ‘ঘর ভাড়া দেওয়া’ হবে নোটিশ লেখা নেই।

করোনা মহামারীসহ বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ভাবে পক্ষাঘাতগ্রস্ত নগরবাসীর উপর স্বৈরশাসক এরশাদ সরকারের ১৯৮৬ সালের ‘দ্য সিটি কর্পোরেশন ট্যাক্সেশন রুলস’ নামে ঘর ভাড়ার উপর গৃহকর অ্যাক্টটি বাংলাদেশের ১১টি সিটি কর্পোরেশন কার্যকর না করলেও চসিক ২০১৬ সালে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নে এই অমানবিক ধারাটি কার্যকরের উদ্যোগ নিলে গৃহকর নিয়ে নগরবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

এই নিয়ে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন নগরবাসীর পক্ষে বর্ধিত ও গলাকাটা গৃহকর নিয়ে বর্তমানে মাঠে নগরীতে সোচ্চার। এমতাবস্থায়, আমরা নিরীহ ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত নগরবাসী অমানবিক ও বর্ধিত গৃহকর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য একটা যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে গৃহকর আদায়ে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সাথে আলাপআলোচনা করে সমাধানে পৌঁছার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি এবং চসিক মেয়র মহোদয়সহ চট্টগ্রামের জনপ্রতিনিধিদের কাছে গৃহকরের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সহযোগিতা কামনা করছি।

আবদুর রহিম

মতিয়ারপোল, কমার্স কলেজ

রোড, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসৈয়দ মুজতবা আলী: বহুভাষাবিদ ও রম্যসাহিত্যিক
পরবর্তী নিবন্ধবসন্ত বরণ