নগরে বসবাসরত গার্মেন্টস শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের লোকজনের আবাসন সংকট নিরসন এবং ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, বন্দর ও ইপিজেড এলাকায় বিপুল সংখ্যক গার্মেন্টস শ্রমিক বাস করেন। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ভাড়াটিয়া। নিম্ন আয়ের এসব শ্রমিকদের যাতায়াত এবং আবাসন সংকট রয়েছে। নির্বাচিত হলে তাদের জন্য গণপরিবহনের ব্যবস্থাসহ আবাসন সংকট নিরসন করে ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রচারণার ষষ্ঠদিন গতকাল বুধবার নগরের ৩৬নং গোসাইলডাঙ্গা ও ৩৮নং দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডে গণসংযোগকালে এসব কথা বলেন তিনি। গণসংযোগকালে বিভিন্ন স্পটে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে সাধারণ লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করে ভোট চান ধানের শীষ প্রতীকে। বিলি করেন প্রচারপত্র।
ডা. শাহাদাত গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ডের বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এরপর হাসেম সওদাগর মসজিদ, কেবি দোভাস লেইন, মধ্যম গোসাইলডাঙ্গা, ফকিরহাট রোড, হাজি ঠান্ডা মিয়া লেইন, রোহিঙ্গা পাড়া, বেচাখাঁ রোড, ফকিরহাট বাজার, নিমতলা বিশ্বরোড হয়ে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত পথসভা করে প্রচারণা চালান। পরে দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ডের সল্টগোলা রেলক্রসিং থেকে শুরু করে ঈশান মিস্ত্রীর হাট, পুরাতন ডাকঘর মোড়, লোহারপুল মোড়, মাইজপাড়া, ওমরশাহ পাড়া, কলসিদিঘী মোড়, ঈগল ক্লাব মোড়, ওয়াসিল চৌধুরী পাড়া, মাইলের মাথা, সিমেন্স হোস্টেল মোড়, নিশ্চিন্ত পাড়া ও হিন্দুপাড়া হয়ে ইসহাক ডিপোর সামনে এসে পথসভার মাধ্যমে গণসংযোগ শেষ করেন।
পথসভায় ড. শাহাদাত বলেন, নিমতলা থেকে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত বিশেষায়িত কোনো হাসপাতাল নাই। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের যে হাসপাতাল আছে তাতে স্থানীয় বাসিন্দারা কোনো ধরনের চিকিৎসা পায় না। নির্বাচিত হলে সিটি কর্পোরেশনের অধীনে বিশেষায়িত হাসপাতাল করার উদ্যোগ গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, গোসাইলডাঙ্গা, মুনির নগর, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা জোয়ারের পানিতে এবং সামান্ন বৃষ্টিপাত হলেই ডুবে যায়। তখন নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। জলবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘমেয়াদী মহাপরিকল্পনা করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর প্রতিষ্ঠাকালে ও সম্প্রসারণের সময় বিভিন্নভাবে স্থানীয় বাসিন্দদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। দেশের স্বার্থে বন্দরের জন্য স্থানীয়দের নিজেদের বসতবাড়ি ফসলি জমি ছাড়তে হয়েছে। অথচ এখনও বন্দর এলাকার সুশিক্ষিত হাজার হাজার যুবক বেকার। এই বেকারত্বের কারণে স্থানীয় যুবকরা বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দরে স্থানীয় সুশিক্ষিত লোকের চাকরির কোনো কোটা নেই। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রাম বন্দরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করব।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সেবক হয়ে সুখ-দুঃখে নগরবাসীর পাশে থাকবো। সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত, পরিচ্ছন্ন, স্মার্ট, নন্দনিক চট্টগ্রাম নগরী উপহার দিতে চাই।
পথসভায় অংশ নিয়ে নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, যেখানেই গণসংযোগে যাচ্ছি সেখানে ধানের শীষের পক্ষে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সাধারণ মানুষের এই অগ্রযাত্রা কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
গণসংযোগে অংশ নেন দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাজি মো. হানিফ সওদাগর, গোসাইলডাঙ্গা ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হারুণ, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী কামরুন্নাহার লিজা, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য গাজী সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর আলম চৌধুরী মঞ্জু, বিএনপি নেতা শামসুল আলম (ডক), নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, আব্দুল মান্নান রানা, মো. সেলিম, হুমায়ুন কবির সোহেল, আবু সাঈদ হারুণ, মোহাম্মদ আজম, হাজি মো. জাহেদ, বিএনপি নেতা আলী আজম চৌধুরী, মো. নাছির, মো, ইউসূফ, মো. সালাউদ্দিন, আব্দুল কুদ্দুস সেন্টু, মাহবুবুল আলম বাচ্চু, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, নেজাম উদ্দিন, রফিক সওদাগর, মো. সেকান্দর, মো. ইলিয়াছ, ইউসূফ কোম্পানি, মোহম্মদ হারুন, আলী মুর্তজা খান, জিয়াউর রহমান জিয়া, তারিকুল ইসলাম তানভীর, মঞ্জুর মোরশেদ, আলী আহসান, আনোয়ার হোসেন জুনু, মাহবুব আলম, দেলোয়ার হোসেন, শহীদুল ইসলাম প্রিন্স মো. মুছা, মো. নিজাম, মো. সবুর, শওকত মান্নান, মো. সাইফুল, আক্তার সৈয়দ, মো. কামরুল, অঙ্গসংগঠনের নেতা আব্দুল নূর মিঠু, রিয়াজ উদ্দিন রাজু, মো. আরিফ, মো. কামরুদ্দিন, আলী রাসেদ, নুর জাফর রাহুল, আবু রায়হান চৌধুরী, ওয়াহিদ খান সারাদ, মো.আজম, মো. জাবেদ, মো. ফারুক, মো. ইয়াছিন, মো. কামাল, মো. হাশেম, মো. রনি, মো. পারভেজ, মো: হাসান, আক্তার, সাগর, ইমরান, লিটন, অভি, আকিল, ফয়সাল, জীবন, কায়সার, ওয়াহিদ।