যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে নিহত চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকার চার তরুণের লাশ গতকাল চট্টগ্রামে আনা হয়েছে। তবে গরু কিনতে যাওয়ার সময় নিয়ে যাওয়া ৩৫ লাখ টাকার ব্যাপারে কোন হদিস মিলেনি। গতকাল তিনজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। অপরজনের লাশ আজ দাফন করা হবে।
কোরবানি উপলক্ষ্যে শখ করে গরু ব্যবসায় নামা চার বন্ধু যশোর সদর উপজেলার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নিমতলা ধোপাখোলা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। তাদের সাথের অপর এক বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত আলী নেওয়াজ ও সাদমান চৌধুরী, নঈম উদ্দীন ও সৈয়দের লাশ গতকাল চট্টগ্রামে আনা হয়। গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের সদস্যরা নিহত চারজনের লাশের গোছল এবং কাফনের কাপড় পরিয়ে প্রত্যেকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। অঙিজেনের ওয়াজেদিয়া এবং বটতল এলাকায় পৃথক পৃথক জানাজার মাধ্যমে গতকাল বাদ আছর দুইজন এবং বাদ মাগরিব সাদমানের লাশ দাফন করা হয়েছে। আলী নেওয়াজের লাশ আজ দাফন করা হবে। একই দুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে গরু কিনতে যাওয়ার সময় নিয়ে যাওয়া ৩৫ লাখ নগদ টাকার কোন হদিস মিলেনি। দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু এবং অপরজন আহত হন। এই সময় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাদের সাথে থাকা ৩৫ লাখ টাকা কোথায় গেল তা কেউ বলতে পারেনি। সাদমান চৌধুরীর পিতা ইকবাল চৌধুরী ছেলের লাশ আনতে যশোর গিয়েছিলেন। তিনি সেখানকার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে লাশ নিয়ে আসেন। কিন্তু টাকাগুলো কে বা কাদের কাছে রয়েছে তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলেছে, দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ বেশ পরে গিয়ে ঘটনাস্থলে শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন এবং দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া গাড়ি পেয়েছে। কোন টাকা পায়নি। এতগুলো টাকা কে বা কারা নিয়ে গেল তা পুলিশ খতিয়ে দেখবে বলেও আশ্বস্ত করা হয়েছে। তবে এই টাকা পাওয়া নিয়ে নিহত যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে সংশয় ব্যক্ত করা হয়েছে।