গরম মসলার বাজার ‘গরম’

সব ধরনের মসলা কেজিতে বেড়েছে ৫০ থেকে ২০০ টাকা

জাহেদুল কবির | সোমবার , ৮ মে, ২০২৩ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার পর কোরবানির আগে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে বাড়ছে গরম মসলার দাম। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মসলার সরবরাহ কমে গেছে, তাই দাম বাড়ছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং দরও বেড়েছে। তবে ভোক্তারা বলছেন, গরম মসলা সচরাচর ব্যবহৃত হয় না। বিয়ে, মেজবানি কিংবা সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে রান্নার স্বাদ বাড়াতে এসব মসলার ব্যবহার হয়। ব্যবসায়ীদের যে পরিমাণ মসলার মজুদ আছে, দাম বাড়ার কথা না। ব্যবসায়ীরা চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

গতকাল চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৩০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে তা বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩৬০ টাকায়। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে জিরার। বর্তমানে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮০ টাকায়। এছাড়া গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫২০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে দারচিনি বিক্রি হয়েছে ২৯৫ টাকায়। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩১০ টাকায়। এছাড়া লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। এলাচ আসে গুয়েতেমালা থেকে। বাকি সব পণ্য ভারত থেকেও আসে। মসলার বাজার দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমুখী ছিল। তবে বর্তমানে ব্যবসায়ীদের মসলার মজুদ শেষ হয়ে আসছে। সেই তুলনায় আমদানি হচ্ছে না। ফলে বাজার এখন বাড়তি। বর্তমানে অনেক ব্যাংক ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারও বাড়তি।

খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক হাজী জসিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে মসলার চাহিদার তুলনায় সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে, তাই দাম বেড়ে যাচ্ছে। বাজারে সিন্ডিকেট করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই। এখন প্রতিযোগিতামূলক বাজার।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভরশীল। ওরা প্রয়োজন মতো দাম ওঠানামা করান। অনেক দিন ধরে গরম মসলার বাজার ঠান্ডা ছিল। আগামী মাসে আসছে কোরবানির ঈদ। ব্যবসায়ীরা কোরবানির ঈদকে টার্গেট করে দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছেন। অথচ তাদের কাছে পর্যাপ্ত মসলা রয়েছে। মসলার বাজার মনিটরিং করার দাবি জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিপিডিএলের চেয়ারম্যানের সহধর্মিণীর ইন্তেকাল
পরবর্তী নিবন্ধজনগণের অর্থের সঠিক ব্যয় নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির