গরম মসলার বাজারেও সিন্ডিকেটের কারসাজি

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির কারণে একমাত্র গরম মসলার বাজারই ঠাণ্ডা ছিল। তবে বর্তমানে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে বাড়ছে মসলার বাজারও। বিয়ে কিংবা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রান্নার স্বাদ বাড়াতে গরম মসলা একটি অত্যাবশকীয় পণ্য হিসেবে বাবুর্চিদের কাছে সমাদৃত। বর্তমানে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের হার বাড়ার কারণে মসলার অতিরিক্ত চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে দামও বাড়ছে বলে জানান মসলা ব্যবসায়ীরা। ভোক্তারা বলছেন, পাইকারিতে মসলার কোনো ধরণের সংকট নেই জানি। এসব মসলা বিরিয়ানি কিংবা পোলাও জাতীয় খাবারে বেশি ব্যবহৃত হয়। যেহেতু অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ছে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলার বাজারও বাড়িয়ে দিয়েছেন। সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যবসায়ীরা বলছেন, অনেক ব্যাংকই ঋণপত্র (এলসি) খোলার পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে মসলা আমদানি পর্যাপ্ত পরিমাণে করা সম্ভব হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় আমাদের দেশে এখনো মসলার দাম কম আছে। গতকাল চাক্তাই-খাতুনগঞ্জের পাইকারি মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২৮০ টাকায়। যা গত দুই সপ্তাহ্‌ আগে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১৫০ টাকায়। জিরা বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৪৪০ টাকায়। এছাড়া গোল মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫৭০ টাকায়। দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৩০ টাকায়। অপরদিকে দুই সপ্তাহ আগে দারুচিনি বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৯৫ টাকায়। এছাড়া লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে কেজি ১ হাজার ২২০ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে এক হাজার ১০০ টাকায়।
খাতুনগঞ্জের কয়েকজন আড়তদার জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। এলাচ আসে গুয়েতেমালা থেকে। এছাড়া বাকিসব পণ্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও আসে। মসলার বাজার দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমুখী ছিল। তবে বর্তমানে ব্যবসায়ীদের মসলার মজুদ শেষ হয়ে আসছে। অন্যদিকে সেই তুলনায় আমদানি হচ্ছে না। যার ফলে বাজারও এখন বাড়তি।
জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের মসলা আমদানিকারক হাজী জসিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী
জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের মসলার আমদানির খরচ আগের চেয়ে বেড়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এলসি খোলার পরিমাণ কমিয়ে দেয়ার কারণেও বাজারে সরবরাহ ঘাটতি রয়েছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, আমাদের একটাই কথা মসলাসহ সব ধরণের ভোগ্যপণ্যের বাজারে নিয়মিত অভিযান চালানো হোক। তবে ব্যবসায়ীরা চাপে থাকবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় ম্যানচেস্টার থেকে মাটিরাঙায়
পরবর্তী নিবন্ধবিনিয়োগ ও সোর্সিংয়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নিন