চন্দনাইশের হাশিমপুর খান বটতল এলাকায় ডাকাতের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছে ১৯ বছর বয়সী এক কলেজ শিক্ষার্থী। তার নাম মো. সায়েম উদ্দীন। সায়েম ওই এলাকার আবুল কাশেমের পুত্র ও সাতকানিয়া সরকারি কলেজের একাদশ ১ম বর্ষের ছাত্র। গত শুক্রবার রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত সায়েমের চাচা আবু জাফর জানান, উপজেলার বাগিচাহাটস্থ খান বটতল এলাকায় নিজের মুদি দোকানে তার ভাতিজা সায়েম, নাঈম ও সাকিব ঘুমাচ্ছিল। রাত ৩টার দিকে সায়েম প্রশ্রাব করতে উঠে দোকান থেকে বের হয়ে সামনে এক লোককে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখে। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন। পরে কয়েকজন দোকানে ঢুকে তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে এবং মারধর করে ক্যাশবঙ থেকে টাকা নিয়ে নেয়। এসময় ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার দিলে তাদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় সায়েম। ডাকাতদের মারধরে আহত হয় সায়েমের ছোটভাই নাঈম ও ফুফাতো ভাই সাকিব। পরে আহত সায়েমকে উদ্ধার করে বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ডাকাতরা পুলিশের পোশাক পরিহিত ছিল বলেও জানান তিনি।
চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে গরুচোর দলের সদস্যরা এই কাজ করেছে। তাদের ছোড়া ছররা গুলি সায়েমের হাতে ও কোমরে লাগে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে একই রাতে চন্দনাইশ সদরস্থ হাজিরপাড়া গ্রাম থেকে দুই গৃহস্থের ৬টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। শুক্রবার রাতে হাজিরপাড়া এলাকায় চোরেরদল হানা দিয়ে মোহাম্মদ মিয়ার গোয়াল ঘরের তালা কেটে আনুমানিক ২ লাখ টাকা মূল্যের দুটি ষাঁড়, দেড় লাখ টাকা মূল্যের দুটি গাভী এবং পার্শ্ববর্তী রৌশন আকতারের গোয়াল ঘর থেকে দেড় লাখ টাকা মূল্যের দুটি গাভী নিয়ে যায়। সম্প্রতি চন্দনাইশে গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম আতংকে রাত কাটাচ্ছেন গরু পালনকারীরা।