গভীর রাতে কর্ণফুলীতে ডুবে গেল নোঙর করে রাখা ট্রলারটি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১০ জুন, ২০২১ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

কর্ণফুলী নদীর উজানে নোঙর করা অবস্থায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। সাগরে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর জাহাজটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল। তিন দিন আগে শাহ আমানত সেতুর উজানে শিকলবাহা খালের অদূরে জাহাজটিকে নোঙর করে রাখা হয়। গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এফভি ক্রিস্টাল-৮ নামের ট্রলারটির মালিক হামিদা দোজা লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এটি ক্রিস্টাল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বলেও সূত্র জানিয়েছে। চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও জাতীয় পার্টি নেতা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহীমের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টাল গ্রুপ।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, গত তিনদিন ধরে ট্রলারটি শিকলবাহা খালের মুখের অদূরে নোঙর করা ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এটি ডুবে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। ক্রিস্টাল গ্রুপের পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে, জাহাজটি সাগরে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং তলায় আঘাত প্রাপ্ত হয়। জাহাজটিকে টেনে কর্ণফুলী নদীতে এনে রাখা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের সময় এটি নোঙর ছিঁড়ে স্থানীয় একটি ঘাটে আঘাত করেছিল। পরে ওখান থেকে টেনে জাহাজটিকে আবারো নদীতে আনা হয়। জাহাজটি মেরামতের জন্য শিকলবাহা খালের অদূরে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে মঙ্গলবার রাতে ডুবে যায়।
ক্রিস্টাল গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাহাজটির ইঞ্জিন না থাকায় এটিকে কূলে ভিড়ানো যায়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠিয়ে চেষ্টা করলেও জাহাজটিকে রক্ষা করতে পারেনি। তলা দিয়ে পানি ঢুকে জাহাজটি ডুবে গেছে।
অবশ্য নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ট্রলারটিতে কেউ ছিল না। মঙ্গলবার রাত ১২টা নাগাদ সর্বশেষ দুইজন নাবিক ট্রলার ত্যাগ করেন। এর ঘণ্টাখানেক পরেই এটি ডুবে যায়। অপর একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনে তারা ট্রলারের তেল এবং আসবাবপত্র সরিয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীর উদ্বৃতি দিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।
ট্রলারটি ক্রিস্টাল গ্রুপ পরিচালনা করতো না বলে উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, জনৈক মোহাম্মদ আলী নামের একজনকে ট্রলারটি লিজে পরিচালনার জন্য দেয়া হয়েছিল। শাহ আমানত সেতুর উজানে সেটি ডুবে যাওয়ার ফলে বন্দর চ্যানেল বা কর্ণফুলী নদীতে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক জানান।
নদীতে ট্রলারটি ডুবে থাকলে লাইটারেজ জাহাজ নোঙরের ক্ষেত্রে সংকট তৈরি করবে বলে লাইটারেজ জাহাজের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল জানিয়েছে। জাহাজটি দ্রুত অপসারণ করার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১১ পাসপোর্ট দালাল গ্রেফতার
পরবর্তী নিবন্ধঘরের মাটি ফেটে বের হচ্ছে গ্যাস