গণমাধ্যমের বন্ধুর মুখোশ পরে বিএনপি সরকারবিরোধী উসকানি দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কাযালয়ে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি। খবর বিডিনিউজের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা (বিএনপি) গণমাধ্যম ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে দানবীয় আচরণ করেছিল, তারাই এখন গণমাধ্যমের মুখোশ পরা বন্ধু সেজে সরকার বিরোধী উসকানি দিচ্ছে। জনগণ বিএনপি নামক বর্ণচোরা দলটিকে ভালো করে চিনে। তাদের কোন অপকর্ম সফল হবে না। ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বিএনপি জোট যে দানবীয় অত্যাচার চালিয়েছিল তা দেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। এ দেশে হত্যা, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারক ও বাহক বিএনপি। তারা এখ সে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। বিএনপিনেতারা অন্ধকার গলিপথ আর ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়নকেই এখন কৌশল হিসেবে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
তিনি বলেন, আন্দোলনের সক্ষমতা হারানো বিএনপি নামক একটি দল এখন উসকানিদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এর আগে তারা শিক্ষার্থীদের সড়ক আন্দোলন, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ভাস্কর্যবিরোধী আন্দোলনে প্রত্যক্ষ- পরোক্ষ মদদ দিয়েছিল। অন্যের আন্দোলনে ভর করে বিএনপি এগিয়ে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে। মিথ্যাচার আর পরাশ্রয়ী রাজনীতি বিএনপির মেরুদণ্ডহীনতাই প্রমাণ।
মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দল করলে দলের শৃক্সখলা মেনে চলতে হবে। সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করলে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবাইকে ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মৎস্যজীবী লীগে মৎস্যজীবীদের প্রধান্য দিতে হবে, যাদের মৎস্যজীবীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই তাদের নেতৃত্বে আনা যাবে না। মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দীন ফরাজী, রিয়াজুল কবির কাওছার এবং মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর লস্কর।