গণপরিবহনে নারীর নিরাপত্তা চাই

| বৃহস্পতিবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

আমরা যতই বলি নারী ক্ষমতায়ন, যতই বলি সাম্যের কথা। কিন্তু আজ নারীরা যেখানে-সেখানে নির্যাতিত, ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছে। বিশেষ করে, গণপরিবহনে দিন দিন বাড়ছে নারী হয়রানি। কখনও পুরুষ যাত্রী কখনও বা পরিবহন শ্রমিকদের হাতে নির্যাতিত হচ্ছে নারী যাত্রী। সম্প্রতি প্রকাশিত ব্রাকের ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় ৯৪ শতাংশ নারী মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ৪১ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দ্বারাই যৌন হয়রানির শিকার হন বেশিরভাগ নারী। নারীদের যৌন হয়রানির মূল কারণ হচ্ছে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকা, বাসে অতিরিক্ত ভিড়, যানবাহনে পর্যাপ্ত আলোর অভাব ইত্যাদি। প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে গাদাগাদি করে বাস যাত্রায় বেশিরভাগ নারীর আছে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শারীরিকভাবে যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে ৮১ শতাংশ নারী বলেছেন, তারা চুপ থাকেন এবং ১৯ শতাংশ বলেছেন আক্রান্ত হওয়ার স্থান থেকে সরে যান। অনেক ক্ষেত্রে পরিবহনে টেনে তোলার নামে যৌন হয়রানির অভিযোগ রয়েছে গাড়ির সহকারীদের বিরুদ্ধে। রাস্তা-ঘাট, গণপরিবহনসহ সর্বত্র উদ্বেগজনকভাবে নারী ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহতা বেড়েছে। নারীরা স্বাধীন চলাফেরায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছে। ধর্ষণ, শ্লীনতাহানি কিংবা যৌন হয়রানি রোধে অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করার পাশাপাশি নারীর চলাচল নিরাপদ করার লক্ষ্যে গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মাজহারুল ইসলাম শামীম
শিক্ষার্থী
ফেনী সরকারি কলেজ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফিদেল কাস্ত্রো : সাম্যবাদের স্বপ্নচারীদের নায়ক
পরবর্তী নিবন্ধতরুণ সমাজকে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে ভূমিকা রাখতে হবে