গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাদের অবদান স্মৃতির পাতায় আজও সমুজ্জ্বল

হাসানুল করিম মানিকের স্মরণসভায় মেয়র

| বৃহস্পতিবার , ২৩ মে, ২০২৪ at ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, কঠিন আওয়ামী দুঃসময়ে যে সকল ছাত্রলীগ নেতা নিজের জীবনকে বাঁজি রেখে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে শরিক হয়ে দেশ, দল, জাতিকে পুনরুদ্ধারে অবদান রেখে গেছেন তাঁরাই আমাদের আদর্শিক চেতনার ভিত্তির সোপান। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ স্পৃহায় প্রতিরোধ যুদ্ধে পুরোভাগে ছিলেন তরুণ ও যুবকরা। স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে তাঁদের অবদানের কথা এখনো স্মৃতির পাতায় জ্বলজ্বল করে। ছাত্রলীগ নেতা হাসানুল করিম মানিকের মত আরো অনেক শহীদ ছাত্রনেতার মুখগুলো এখনো চোখের সামনে ভেসে ওঠলে আঁতকে ওঠি। আমরা কোথায় ছিলাম আর এখন কোথায় আছি। এখন যেখানে আছি সেই অবস্থানটা তৈরি হয়েছে শহীদ ছাত্রলীগ নেতাদের আত্মত্যাগ ও আত্ম বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। তাঁদের এই আত্ম বিসর্জনের কথা ইতিহাসের পাতায় অবশ্যই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

গত মঙ্গলবার বিকালে ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের ভারপ্রাপ্ত ভিপি হাসানুল করিম মানিকের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শহীদ ছাত্রনেতা হাসানুল করিম মানিক স্মৃতি সংসদের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট এ. এম কুতুব উদ্দিন চৌধুরী ও পংকজ রায়ের যৌথ সঞ্চালনায় নগরীর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব বঙ্গবন্ধু হলে এ স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেয়র বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে এমইএস কলেজ ছিল ছাত্রলীগের একটি প্রতিবাদী দুর্গ। এই দুর্গের উপর বার বার হামলা এসেছে। বর্বরোচিত হামলায় শহীদ হয়েছেন রবিউল হাসান বেলাল, চন্দন ভোমিক, মইনুল করিম, মহিম উদ্দিন, কাসেম, কায়সার, এনাম, মনসুর, শহীদ, পুলক, রাসেল, বাপ্পিদের মত প্রথম সারির সাহসী ছাত্রলীগ নেতাগণ। ঐ সময়ের হামলা ও মামলায় নির্যাতিত, নিপীড়িত অনেক ছাত্রনেতা এখনো বেঁচে আছেন। তাঁদের যথার্থ মূল্যায়ন অবশ্যই হওয়া উচিত। যদি না হয় তাহলে আমরা বিবেকের কাছে দায় থাকব। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মো. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। স্মরণসভায় আরো বক্তব্য রাখেন এমইএস কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. ইউনুছ, সাবেক জিএস কে.বিএম শাহজাহান, জসিম উদ্দিন খন্দকার, মশিউর রহমান রোকন, এম আর আজিম, দেবাশীষ নাথ দেবু, নুরুল আনোয়ার, মনোয়ার জাহান মনি, শিবু প্রসাদ চৌধুরী, গোলাম সামদানি জনি, মনিরুল ইসলাম, হাসমত খান আতিফ, সৌরভ রায়, জুবাইদুল আলম আশিক, জাহিদ হাসান সাইমুন, আবদুল্লাহ আল সাইমুন, অর্ণব দে, হাবিবুর রহমান সুজন, এইচ.এম জাহিদ, মোছা. তুস্মি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৈদ্যুতিক মিটারের অতিরিক্ত চার্জ নিয়ে গ্রাহকের অস্বস্তি নিরসনে সুজনের অনুরোধ
পরবর্তী নিবন্ধজিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচি