ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে সে, খুঁজে নিতে হয় বুঝে নিতে হয় তাকে সে হচ্ছে ‘শান্তি’। কার কিসে শান্তি মিলে সেটা একান্ত তার নিজের হলেও এখানে ‘বয়স’ বিবেচ্য। যুবক বয়সের ‘শান্তি’ আর বার্ধক্যের ‘শান্তি’ কখনো এক হয় না যদি হয় তবে তা ‘রুচির দুর্ভিক্ষ’ ‘ব্যক্তিত্বের সমস্যা’ বহতা জীবনে সময় অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিছুদিন আগে একজন ষাটোর্ধ মানুষের সাথে বেড়াতে গিয়েছিলাম সাথে ত্রিশ বছরের এক যুবক ছিল। তাদের মধ্যে কথোপকথনের এক পর্যায়ে আমি বিব্রত হচ্ছিলাম! এতে কি শান্তি ওনার মিললো! তার বদলে সিনিয়র হিসেবে ওনার সম্মানের জায়গাটা সংকীর্ণ হয়ে গেল, বেশ বুঝতে পারলেও মন্তব্য করা থেকে বিরত রইলাম। জীবনটায় কখন শান্তি আসবে এ নিয়ে এতোটা চিন্তা না করলেও চলে।
জীবনে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের মতোই ‘সুখ ও কষ্টকে’ সেরকম মনে করুন। বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত থাকি আমরা তখন নানারকমের মানুষের সাথে আমাদের ‘অস্থায়ী সম্পর্ক’ গড়ে ওঠে একসময় তা শেষও হয়ে যায়।
ঠিক সেরকম সুখ আসে জীবনে তা শেষ হয়ে যায়, দুখও আসে সেও চলে যায় কিন্তু এদুটোর মাঝে ‘সুখটাকে’ আমরা আঁকড়ে ধরে রাখতে এতো এতো দৌড়ঝাঁপ করতে থাকি, এখন কথা হল যতই যা করে থাকি তাকে আমরা বেঁধে রাখতে পারি না শত চেষ্টা করলেও। আবার দুখকে তাড়াতে গিয়ে জীবনকে ভরে তুলি নানান জটিলতায়। আমি মনে করি সুখদুখ হল অতিথির মতো সুখ আসলে তা নিতে হবে সহজভাবে এবং তখন একটু সময়ের জন্য হলেও দুখের কথা মনে ঠাঁই দিবেন (সুখে অন্ধ হতে নেই)- কারণ যতদিন বেঁচে থাকবো এরা আমাদের জীবনে পালাক্রমে আসতে থাকবে কারণে অকারণে।