খাল-নালায় ময়লা-আবর্জনা ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ

মেয়রের মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নালা-নর্দমা, খালে ও পানি নিষ্কাশনের পথে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য, ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। খাল-নালায় ময়লা-আবর্জনা ফেলাকে ‘দণ্ডনীয় অপরাধ’ বলেও সতর্ক করেন তিনি।
একশ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচির অংশ হিসেবে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা বিশেষ অভিযান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল শনিবার সকালে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের নতুন থানা চত্বর এলাকায় ফগার মেশিন দিয়ে কীটনাশক ছিটিয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় মেয়র বলেন, শহরটাকে সুন্দর করার জন্য একশ দিনে পরিকল্পনা নিয়েছি। আজকে তার সূচনা করলাম। তবে জনগণকে স্বস্তি দেয়া একশ দিন বেশি নয়। ধারাবাহিকতা থাকবে। আশা করছি, পাঁচ বছরের মধ্যে সবার সহযোগিতায় একটি পরিকল্পিত শহরে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, নগরীর অনেক রাস্তাঘাটের অবস্থা খারাপ। শহরের অনেক রাস্তাঘাট নষ্ট হয়ে গেছে। যান চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। একশ দিনের মধ্যে তো নতুন করে রাস্তা নির্মাণ সম্ভব হবে না। তবে রিপেয়ার করে যান চলাচলের উপযোগী করা হবে। সে ব্যবস্থা আমরা করব। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও সক্ষমতা, ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত, প্রকৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাই ধৈর্য ধরতে হবে।
মেয়র বলেন, নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র পদে ৫ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ের মধ্যে সকলের শতভাগ আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা পূরণ কখনও সম্ভব নয়। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করে জনদুর্ভোগ লাঘব ও নাগরিক স্বস্তি প্রদানে আমার সামর্থ্য ও সিটি কর্পোরেশনের সক্ষমতা উজাড় করে দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।
এই কার্যক্রমে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতাকে প্রথম অগ্রাধিকার দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, মশার বিস্তার নাগরিক দুর্ভোগ ও অস্বস্তির অসহনীয় উপসর্গ। তাই তা নিরসনে প্রথম ২০ দিনের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়ে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হবে।
তিনি অভিযানে স্বপ্রণোদিত হয়ে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশন মশক নিধনের ওষুধ ছিটাবে এবং প্রকাশ্য স্থান ও নালা-নর্দমার স্তূপকৃত আবর্জনা, বর্জ্য পরিষ্কার করবে। কিন্তু শুধু এভাবে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব নয়। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন নাগরিক সচেতনতা। নিজ গরজেই বাসা-বাড়িতে মশক প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল বিনাশ এবং বর্জ্য-আবর্জনা সরিয়ে ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে।
নগরবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না। তবে সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী এবং সচেষ্ট। যেকোনো নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ থাকলে আমাকে অবগত করা হলে তা নিরসন ও লাঘবে তাৎক্ষণিক কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর এসারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, চসিক আঞ্চলিক অফিস জোন-৬ এর নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আকতার, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহেদা ফাতেমা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা আকতার নেলী, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু ছালেহ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সিদ্দিক, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সাইফুদ্দীন আহমদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকীটনাশকের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখতে চসিকের টিম যাচ্ছে ঢাকায়
পরবর্তী নিবন্ধসকাল থেকে মেঘলা বিকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি