বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ডের কার্যকারিতা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার বিষয়ে সম্মতিসূচক মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অনুমোদন দেওয়ার পর এ সংক্রান্ত নথি রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
তাতে বলা হয়, দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত খালেদা জিয়ার সাজার কার্যকারিতা আগের শর্তে আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত রাখার সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। খবর বিডিনিউজের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গত ৩ মার্চ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তার আগের দিন খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার সাজা মওকুফ এবং চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা সে সময় বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গতবছর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। দণ্ডের কার্যকারিতা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হলে তিনি কারামুক্ত হন।
ওই মুক্তির মেয়াদ শেষে গতবছর সেপ্টেম্বরে আগের শর্তে তা আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। এবারও একই শর্তে সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
গতকাল দুপুরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার পরিবার ‘বিশেষায়িত চিকিৎসার’ কথা লিখেছিল তাদের আবেদনে। আমাদের মতামতে লেখা হয়েছে, দেশের ভেতরে তিনি যদি বিশেষায়িত চিকিৎসা নেন, সরকারের তাতে কোনো আপত্তি নেই।
এ বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, কোনো হাসপাতাল নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি, তিনি বুঝবেন স্পেশালিস্ট কাকে রাখবেন, সেই স্বাধীনতাও তার আছে। বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
৭৫ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।