‘চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো সম্ভব নয় বলে মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। কাজেই সেখানে সরকারের কিছু করার নেই।’ গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়ার ছোটভাই যে আবেদন করেছিলেন সেখানে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। আমরা সে আবেদন পাওয়ার পর আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম তাদের মতামতের জন্য। কারণ এ বিষয়ে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
এ সময় সাংবাদিকদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তরও দেন মন্ত্রী। আইন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া মতামতের সিদ্ধান্ত খালেদা জিয়ার পরিবারকে জানানো হবে কিনা জানতে চাইলে কামাল বলেন, উনারা যদি জানতে চান আমরা অবশ্যই জানিয়ে দেব। তবে এরই মধ্যে উনি (শামীম ইস্কান্দার) জেনে গেছেন। তাদের কোনো কিছু জানার থাকলে, কথা বলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত যেটা সেটা পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নেই।
আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু বলেছেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত…!! ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট, এটা তো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়। একটা যদি অঘটন ঘটে সেটার বিচার হয়। সেটা আপনারা সবসময় দেখে আসছেন। আমাদের আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। সেখানে আমাদের কর্তৃত্ব নেই। রাষ্ট্রপতি কাউকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। এটাই তো তারা ইঙ্গিত করছেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় যে মতামত দিয়েছে, সেটাই আপনাদের জানিয়ে দিয়েছি। এর বাইরে আমাদের কিছু করণীয় নেই।
হাজী সেলিমসহ আওয়ামী লীগের কেউ কেউ এ সুবিধা (বিদেশে চিকিৎসা) নিয়েছেন। বিষয়টি উল্লেখ করলে সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, হাজী সেলিম কিন্তু দণ্ডিত নন। তার বিচার চলছে।
খালেদা জিয়ার পরিবার তাকে বিদেশ পাঠাতে চাইলে কোন প্রক্রিয়ায় যেতে হবে, সেটিও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, তাকে এখন যে আদেশ বলে ৪০১ ধারায় দুটি শর্তে ছয়মাসের জন্য সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেটা বাতিল করে পুনরায় বিবেচনা করার সুযোগ থাকলে সেটা করা হবে।