খাগড়াছড়িতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সাজু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার খাগড়াছড়ি সদরের ৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এক প্রার্থীকে লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ করতে গিয়ে সাজুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন।
একাধিক পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেন্দ্রে অনেক পরীক্ষার্থী মোবাইল ও উত্তরপত্র নিয়ে প্রবেশ করেছে। বাহির থেকে যেসব উত্তর লিখে এনেছে তার হুবহু প্রশ্নপত্রে ছিল। মোবাইল ব্যবহার করে ইন্টারনেট ও বাহির থেকেও উত্তর জানানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও উত্তরপত্র সরবরাহ করতে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আটক হওয়া ব্যক্তির কাছে যে উত্তরপত্রটি ছিল তা প্রশ্নের সাথে মিল রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা মুঠোফোনে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন অভিযোগ তিনি শোনেননি। নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা তিনি জানেন না। তবে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়মবর্হিভূতভাবে প্রবেশের অভিযোগে একজনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেছে বলে শুনেছেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। মামলা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও করোনাকালীন সংকটের কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর বন্ধ ছিল এ নিয়োগ কার্যক্রম। এ নিয়োগে চাকরির প্রার্থী রয়েছে ৩ হাজার ৫ শ ৬৭ জন। এর আগে, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। প্রাথমিক শিক্ষার মতো স্পর্শকাতর এ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিবারে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বরাবরের মতো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
