খাগড়াছড়িতে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিন ভিড় ভাড়ছে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে। গত ৫ দিনে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৪ শিশু। ঠাণ্ডার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি পাহাড়ের গ্রামঞ্চলে। এখানকার শিশুরা ঠাণ্ডার প্রভাবে শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠাণ্ডা ছাড়াও তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। ঠাণ্ডায় আক্রান্ত শিশুদের বেশির ভাগের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। মারা যাওয়া শিশুদের বয়স এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে। এছাড়া বাড়তি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, গতকার সোমবার খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে শীতকালীন রোগের উপর্সগ নিয়ে ভর্তি হয়েছে ২০ শিশু। অভিভাবকরা জানান, পাহাড়ে ঠাণ্ডা বাড়ার সাথে শিশুর শ্বাসকষ্ট, জ্বর সর্দি হচ্ছে। বেশির ভাগই ৪-৫দিন পর্যন্ত জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় তাদের হাসপাতালে আনা হয়েছে। চিকিৎসা দেয়ার পরও বাচ্চাদের সুস্থ হতে সময় লাগছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ব্রিটনি ত্রিপুরা জানান, শীতের কারণে রোগী চাপ বাড়ছে। অনেক অভিভাবক সচেতন না। অসুস্থ হওয়ার সাথে সাথে তারা বাচ্চাদের হাসপাতালে নিয়ে আসেন না। দেরি করে আনায় অনেক বাচ্চাকে বাঁচানের সম্ভব হয় না। অনেকে আবার গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। এতে অনেক বাচ্চা অপচিকিৎসার শিকার হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক জানান, ‘শীতে রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এসময় বাচ্চাদের গরম দেওয়ার পাশাপাশি সুষম খাবার দিতে হবে। মা করোনা আক্রান্ত হলেও মুখে মাস্ক পড়ে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। চলতি মাসের ৫ দিনে হাসপাতালে ৪ শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’