খাগড়াছড়িতে দুই সপ্তাহে ৭ শিশুর মৃত্যু, বাড়ছে রোগী

শীতজনিত রোগের প্রকোপ

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | সোমবার , ২৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:৩১ পূর্বাহ্ণ

খাগড়াছড়িতে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। কয়েকদিনের ঠান্ডায় বেড়েছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা। চলতি মাসে দুই সপ্তাহে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৭ শিশু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের চিকিৎসক রাজেন্দ্র ত্রিপুরা।

শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা ছাড়াও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে অধিকাংশের বয়স ৬ থেকে ১৮ মাস। গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৩০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এ সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালটির শিশু ওয়ার্ডে কোন শয্যা খালি নেই বলে জানা গেছে। জনবল সংকটের কারণে বাড়তি রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সরা। ভর্তিকৃত রোগীদের বেশিরভাগই ডায়রিয়া, বমি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।

চিকিৎসা নিতে আসা এক অভিভাবক জানান, বাচ্চার বয়স ১২ মাস। ঠান্ডা লাগার পর পর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখন চিকিৎসা চলছে। রাঙামাটির সাজেক ইউনিয়নের বাঘাইহাট থেকে আসা এক রোগীর স্বজন জানান, আমার বাচ্চার জ্বর, পেট ব্যাথা। আমাদের এলাকায় হাসপাতাল নেই। তাই এখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি।

শীতের কারণে নবজাতক ও শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। তবে অনেক শিশু সিবিয়ার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে আশংকাজনকভাবে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। অনেক শিশুকে চট্টগ্রামে রেফার করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় কমিউনিটি স্বাস্থ্য সেবা না থাকায় সদর হাসপাতালে আনতে সময় লাগছে বেশি।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রিপল বাপ্পী চাকমা বলেন, প্রতিদিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ৫ থেকে সাড়ে ৫শ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ জন রোগী হাসপাতালের ইনডোরে ভর্তি চিকিৎসা নিচ্ছে। অধিকাংশ রোগী ঠান্ডাজনিত রোগ সর্দি, কাশি নিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। বয়ষ্ক রোগীরাও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন।

খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অনেক বাচ্চাদের ক্রিটিক্যাল অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসছে। এতে অনেক রোগীদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। চলতি মাসে ৭ জনের মতো শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এ সময় তিনি বাচ্চাদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরার্মশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, মা করোনা আক্রান্ত হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধ১০১ টাকা কাবিনে রাজ পরীমনির আনুষ্ঠানিক বিয়ে