খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গ্রেপ্তারকৃত চার আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টায় এক প্রেস বিবৃতিতে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো.আরেফিন জুয়েল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর খাগড়াছড়ি সদরের ১৫ বছর বয়সী এক ত্রিপুরা কিশোরী মাটিরাঙ্গায় তার খালার খালাতো বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যায়। ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে বেলছড়ি ইউনিয়নের অযোধ্যা কালী মন্দিরে খালার সাথে পূজা দেখতে যায়। এ সময় মামলার তিন নম্বর আসামি ডেটল বাবু ত্রিপুরা (১৯) ও চার নম্বর আসামি রিমন ত্রিপুরার (২২) সাথে ভিকটিমের পরিচয় হয়। এ সময় কৌশলে তারা প্রধান অভিযুক্ত আসামি রনি বিকাশ ত্রিপুরার (৩২) ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে ভিকটিমকে ভারতের সীমান্তবর্তী নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা ভিকটিমকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মোটরসাইকেলের মালিক রনি ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরা ঘটনাস্থলে চলে আসে। পরে রনি ত্রিপুরা ডেটলের কাছ থেকে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে ভিকটিমকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে সুমনসহ রামগড় সীমান্ত সংলগ্ন ধলিয়া ব্রিজের উত্তর পাশে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরা জোরপূর্বক ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরে সুমন ত্রিপুরা মেয়েটিকে নিয়ে জঙ্গলের দিকে এবং রনি মোটরসাইকেল নিয়ে মন্দিরে চলে আসে। ভিকটিমের খালা ভিকটিমকে খুঁজে না পেয়ে মন্দির কমিটিকে জানালে সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। রনির দেয়া তথ্য মতে তারা ঘটনাস্থলের পাশে রাস্তার উপর থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এই ঘটনায় পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে গত দুই দিনে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেফতার করে। ভিকটিমের বড় বোন বাদী হয়ে মাটিরাঙা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। গত বৃহস্পতিবার রনি বিকাশ ত্রিপুরা ও ডেটল বাবু ত্রিপুরাকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে তারা বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এছাড়া রিমন ত্রিপুরা ও সুমন বিকাশ ত্রিপুরাকে চট্টগ্রাম শহর থেকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হলে তারা আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এছাড়া ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি বিজ্ঞ আদালতে তার জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।












