ভরা বর্ষায় সবুজ পাহাড়, ঝরনা আর দলছুট মেঘ দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। তবে এবার ঈদুল আজহার ছুটিতে পাহাড়ে পর্যটক সমাগম কম হবে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদের দুদিন আগেও হোটেল মোটেলে তেমন বুকিং বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, সাধারণত ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই আমাদের অতিথি আসতে শুরু করে। অথচ গত দুদিনে কোন অতিথিই নেই। এছাড়া ঈদুল ফিতরের পরবর্তী দুই তিনদিন তেমন রুম বুকিং নেই। ১২ জুলাই অল্প কিছু বুকিং হয়েছে মাত্র। এবার ঈদে পর্যটক সমাগম কম হলে আমাদের লোকসান হবে।
তিনি আরো জানান, জেলায় ৩০ টি আবাসিক হোটেল আছে। সব কটির একই অবস্থা। তেমন বুকিং নেই। খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কেএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় লম্বা ছুটি ছিল। তখন ভালো পর্যটন সমাগম ছিল। এবার ঈদের পর তেমন ছুটি নেই। ছুটি কম থাকার কারণে পর্যটকের ভিড় কম হবে। এদিকে পর্যটকদের বরণে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, আলুটিলা জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলুটিলায় ঝুলন্ত ব্রীজ, নন্দন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের কাছে পর্যটনবান্ধব স্থাপন আর্কষণীয় হয়ে উঠবে। এবার ঈদের দিন থেকেই আলুটিলায় পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা করছি। দিনে অন্তত এক হাজার পর্যটক আলুটিলা ভ্রমণ করবে। রিছাং ঝরনা, হটিকালচার পার্কসহ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অতিথি বরণে প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। খাগড়াছড়ি বেসরকারি আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত ত্রিপুরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে আমাদের হোটেল গোছানোর প্রস্তুতি চলছে। ঈদে আগত পর্যটকদের জন্য রেস্টুরেন্ট সংস্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অতিথি বরণে আমরা সব ধরনের প্রস্ততি নিয়েছি। হোটেলের কক্ষগুলো আধুনিক সুযোগ সুবিধা রাখা হয়েছে। এদিকে ঈদে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে জেলা পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল আজিজ জানান, প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে পুলিশের টিম কাজ করবে। নিরাপত্তার কোন সংকট নেই।












