খাওয়ানো হবে ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের

চার দিনের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন আজ শুরু

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সারা দেশে আজ ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে চারদিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন। ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও ৬-৫৯ মাস বয়সী ১৩ লাখের বেশি (১৩ লাখ ২৭ হাজার ৭২ জন) শিশুকে একটি করে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্য বিভাগ। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সীদের একটি করে নীল রঙের (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে লাল রঙের (২ লাখ ইউনিটের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন) ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল না খাওয়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া ছয় মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী এবং অসুস্থ শিশুকেও এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
এ ক্যাম্পেইনে মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় ১৩ লাখের বেশি (১৩ লাখ ২৭ হাজার ৭২ জন) শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়। আর মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ৫ লাখ ৩২ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানিয়েছে চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ। সবমিলিয়ে মহানগর ও জেলায় ১৩ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নকরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, মহানগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ১ হাজার ২৮৮টি কেন্দ্রে সবমিলিয়ে ৫ লাখ ৩২ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা প্রায় ৮০ হাজার। আর ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর সংখ্যা ৪ লাখ ৫২ হাজার।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়- জেলার ১৫টি উপজেলায় মোট ৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭২ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৯০ হাজার ১৯০ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৭ লাখ ৪ হাজার ৮৮২ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ৪ হাজার ৮০০টি কেন্দ্রে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন বলেন, এ ক্যাপসুল খেলে শিশুদের সমস্যা হয়না। তবে খালি পেটে খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। এ জন্য শিশুদের ভরাপেট অবস্থায় ক্যাপসুলটি খাওয়াতে হয়। তবে কোনো শিশু গত চার মাসের মধ্যে এ ক্যাপসুল খেলে তাকে আর খাওয়ানো যাবে না। এছাড়া অসুস্থ এবং ৬ মাসের কম বয়সী ও পাঁচ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।
রাতকানা রোগের প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপুষ্টিজনিত মৃত্যু প্রতিরোধ করাই ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। ৫ বছরের কম বয়সী সকল শিশুকে নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সকল অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধও জানিয়ছেন সিভিল সার্জন ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবার বাংলাদেশি কর্মী নেবে মালয়েশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধশেখ হাসিনার কাছে বিএনপির শিক্ষণীয় অনেক : তথ্যমন্ত্রী