ক্ষুব্ধ পুতিন যেন ইতিহাস নতুন করে লিখছেন

| বুধবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ক্রোধে জর্জরিত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার রাতে ঐতিহাসিক নানা বিষয়ে অভিযোগে তুলে যেভাবে পশ্চিমা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে তিনি যেন ইউক্রেনের ইতিহাস নতুন করে লিখছেন। বিবিসি’র পূর্ব ইউরোপ বিষয়ক বিশ্লেষক সারা রেইন্সফোর্ডের মতে পুতিনের বক্তব্যে মনে হয়েছে, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়াইয়ে নামতে যাচ্ছেন। খবর বিডিনিউজের। রেইন্সফোর্ড বলেন, সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাকে অসহনশীল দেখাচ্ছিল এবং তিনি সরাসরি হুমকি দিচ্ছিলেন। এটা যেন অনেকটা এমন ছিল, গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি নিজের বুকে আঘাত জমিয়ে রেখেছিলেন এবং এখন পাল্টা জবাব দিচ্ছেন। পশ্চিমা বিশ্ব সম্পর্কে পুতিন বলেন, ‘আপনারা আমাদেরকে বন্ধু বানাতে চাননি। কিন্তু আমাদের জন্য শত্রু বানানোরও দরকার ছিলনা আপনাদের।’
নিজের বক্তব্যে পুতিন স্পষ্ট করে বলেছেন, সবার আগে তিনি নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান এবং এ বিষয়ে তিনি একচুল ছাড়ও দেবেন না। এক্ষেত্রে তার মূল দাবি: ওই এলাকায় ন্যাটোর বিস্তার অবশ্যই থামাতে হবে এবং ইউক্রেনকে কোনওভাবেই ন্যাটোর সদস্যভুক্ত করা যাবে না; ইউক্রেনের সদস্যপদকে তিনি ‘রেড লাইন’ হিসেবে বিবেচনা করছেন।
পুতিনের অভিযোগ, রাশিয়া যেসব বিষয়ে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সেগুলোকে বছরের পর বছর অপ্রাসঙ্গিক ধরে নিয়ে উপেক্ষা করা হয়েছে এবং পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়াকে পুনরুত্থিত বিশ্ব শক্তি মনে করে তাদের ‘দমন’ করার চেষ্টা করে গেছে।
পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন এমন একটি দেশ যার স্বাধীন রাষ্ট্রের কোনও ঐতিহ্যই ছিল না, এটি ছিল ভ্লাদিমির লেনিনের সৃষ্ট কৃত্রিম সোভিয়েত রাষ্ট্র। পুতিন এর আগেও ইউক্রেন বিষয়ে তার এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছিলেন, কিয়েভ যাকে ‘মিথ্যা’ এবং ‘মনগড়া ইতিহাস’ বলে প্রত্যাখ্যান করে আসছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা ইউক্রেইনের দুটি অঞ্চলকে পুতিনের স্বীকৃতি দেওয়ার অর্থ হল- রাশিয়া আর এই দুই অঞ্চলকে ইউক্রেইনের অংশ মনে করে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে বইমেলা থেকে ‘সন্দেহভাজন’ দুই যুবক আটক
পরবর্তী নিবন্ধপূর্ব ইউক্রেনে রুশ সেনা ও ট্যাংক