ক্রোয়েশিয়ার নায়ক লিভাকোভিচ

| শনিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ

জাপানের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দলের ত্রাতা। তিনটি শট বাঁচিয়ে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন ডমিনিক লিভাকোভিচ। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে আরও একবার পাহাড় হয়ে দাঁড়ালেন ক্রোয়েশিয়ার ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার গোলরক্ষক।
১২০ মিনিটের খেলায় তাকে একবারই মাত্র পরাস্ত করতে পারলেন নেইমাররা। টাইব্রেকারে আবার জাপান ম্যাচের ছবি দেখা গেল। আরও এক বার দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা নিলেন তিনি। ব্রুনো পেটকোভিচ যদি গোল করে ক্রোয়েশিয়ার হয়ে সমতা ফেরান, তা হলে ক্রোয়েশিয়াকে ততক্ষণ খেলায় রাখলেন লিভাকোভিচ। নইলে ব্রাজিলের ঝড়ে অনেক আগেই উড়ে যেতেন লুকা মদ্রিচরা।
প্রথমার্ধে ক্রোয়েশিয়ার গোল লক্ষ্য করে পাঁচটি শট মেরেছিল ব্রাজিল। কোনো শট থেকেই গোল হয়নি। বার বার নিজের শরীর ব্যবহার করে সেই সব বল আটকে দিয়েছেন লিভাকোভিচ। ব্রাজিলের ফুটবলারদের দেখে বোঝা যাচ্ছিল, গোল করতে না পেরে কতটা হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা। কখনও ডান পায়ে, কখনও হাতে, কখনও বা বুকে। একের পর এক বল আটকেছেন লিভাকোভিচ। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই একই ছবি। চারটি গোল করতে পারত ব্রাজিল। কিন্তু একটিও হয়নি। অতিরিক্ত সময়ে ক্রোয়েশিয়ার গোল লক্ষ্য করে আরও পাঁচটি শট মারে ব্রাজিল। তার মধ্যে নেইমারের গোল ছাড়া বাকি চারটি শটও বাঁচিয়ে দেন তিনি। টাইব্রেকারে মদ্রিচের কাছে সুযোগ ছিল, কারা প্রথম পেনাল্টি মারবে সেটা ঠিক করার। মদ্রিচরা চেয়েছিলেন প্রথম শটে গোল করে এগিয়ে যেতে। সেটাই হয়েছে। রদ্রিগোর শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। তার চোখ-মুখ বলে দিচ্ছিল, কতটা আত্মবিশ্বাস আছে তার মধ্যে। সেই আত্মবিশ্বাসে ভর করেই দলকে সেমিফাইনালে তুললেন লিভাকোভিচ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাড়ে তিন বছর ধরে কার্যক্রম নেই
পরবর্তী নিবন্ধআবছারের মুক্তি ও ‘অন্যায্য’ হোল্ডিং ট্যাক্স বাতিলে আল্টিমেটাম