সাড়ে তিন বছর ধরে কার্যক্রম নেই

চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি শাখা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ১০ ডিসেম্বর, ২০২২ at ৮:০৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম কাস্টমসের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) শাখায় সাড়ে তিন বছর ধরে কোনো কার্যক্রম নেই। শাখাটি মূলত কাস্টমসের শুল্ক মূল্য সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলা কাস্টমস ও আমদানিকারকদের পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে থাকে। এক্ষেত্রে আমদানিকারককে কাস্টমসের ট্রাইব্যুনাল থেকে মামলা নামিয়ে এডিআরে আনতে হয়। তবে গত সাড়ে ৩ বছরে এডিআর শাখায় আবেদন জমা পড়েছে মাত্র একটি। সেটি শুল্ক মূল্য সংক্রান্ত না হওয়ায় নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এডিআর কার্যক্রম চালু রাখতে হলে কাস্টমস ও আমদানিকারক উভয় পক্ষকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। তাহলেই কেবল এডিআর কার্যক্রম গতি পাবে। এডিআরের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি হলে কাস্টমস ও আমদানিকারক উভয়পক্ষ লাভবান হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় ৯ হাজারের কাছাকাছি মামলা রয়েছে। এই বিশাল সংখ্যক মামলা থেকে গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে এডিআরে মামলা নিষ্পত্তির জন্য আবেদন জমা পড়ে ১০২টি, বিপরীতে নিষ্পত্তি হয় ৯১টি। এর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এছাড়া ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে এডিআরের কোনো কার্যক্রম ছিল না। সর্বশেষ গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এডিআরে আবেদন জমা পড়ে ২৪টি, এরমধ্যে নিষ্পত্তি হয় ২১টি। এসব মামলা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৪ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কাস্টমসে আবেদন জমা পড়েছে ১২৬টি। নিষ্পত্তি হয়েছে ১১২টি মামলা এবং নিষ্পত্তিকৃত মামলা থেকে সরকার রাজস্ব পেয়েছে ২৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এছাড়া বাকি ১৪টি নিষ্পত্তি হয়নি। এডিআর শাখার কর্মকর্তারা জানান, উচ্চ আদালত ও কাস্টমসের আপিল ট্রাইব্যুনালে
দীর্ঘদিন থেকে নিষ্পন্ন না হওয়া অবস্থায় রাজস্ব সংক্রান্ত মামলা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ নেয় এনবিআর। সেই লক্ষ্যে গত ২০১২ সালের ১ মার্চ থেকে কার্যক্রমটি শুরু হয়। তবে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতে সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের (আইএফসি) সহযোগিতায় ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে এডিআর পদ্ধতিটি গতি পায়। এ পদ্ধতিতে আদালতের বাহিরে আমদানিকারক এবং কাস্টমসের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে একজন নিরপেক্ষ সহায়তাকারীর মাধ্যমে দ্রুত সময়ে মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করে থাকে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এডিআর শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার আরজিনা খাতুন বলেন, এডিআর কার্যক্রম আবারও বেগবানে আমরা কিছু পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। এডিআরে মামলা নিষ্পত্তি হলে কাস্টমস ও আমদানিকারক উভয় পক্ষেরই সুবিধা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ বি এম ফজলে রশীদ চৌধুরী হিরুর ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
পরবর্তী নিবন্ধক্রোয়েশিয়ার নায়ক লিভাকোভিচ