ক্রেতাদের ভিড়, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

জহুর হকার্স মার্কেট

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৫ মে, ২০২১ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রথম পছন্দ জহুর হকার্স মার্কেট। চলতি সপ্তাহের শনি-রবিবার ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম থাকলেও গতকাল উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে সেখানে। তবে ক্রেতা বাড়লেও ব্যবসায়ীদের মনে এখনো রয়েছে অসন্তুষ্টি। আর দশদিন পরই ঈদ। অথচ এই সময়ে মার্কেটে যে পরিমাণ ক্রেতা হওয়ার কথা, তা দেখা যাচ্ছে না। অবশ্য এক্ষেত্রে মার্কেট বন্ধের সময়সীমাও একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার রাত ৮টায় মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ক্রেতারা সময় নিয়ে মার্কেটে আসতে পারছেন না। কারণ দিনের বেলায় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকে সাধারণ মানুষ। এছাড়া এখন তপ্ত রোদ। ইফতারের পর মার্কেটে আসার সুযোগ থাকলে বেচাবিক্রি আরো বেড়ে যেত।
গতকাল সরেজমিনে জহুর হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা বিভিন্ন দোকানে পছন্দের পোশাক খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন। বিক্রেতারাও বিভিন্ন ধরনের হাঁকডাক দিচ্ছেন। তবে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। অনেককে মাস্ক ছাড়াই কেনাকাটা সারতে দেখা যায়।
হেলাল উদ্দিন নামে এক বিক্রেতা জানান, গত দুইদিন মার্কেটে বেচাবিক্রি কিছুটা কম থাকলেও আজ (গতকাল) ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। জহুর হকার্সে আসা ক্রেতা ঈশিতা সুলতানা বলেন, ঈদের কিছু প্রয়োজনীয় শপিং করতে এলাম। লকডাউনের আগে কিছু করেছি। এখন স্বামীর জন্য জামা কিনতে এসেছি।
আবরার আহমেদ নামে অপর এক ক্রেতা জানান, জহুর হকার্সে কম টাকায় ভালো ভালো কালেকশন পাওয়া যায় শুনেছি। তাই মূলত এখানে আসা। তবে বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন। জহুর হকার্সের অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন আজাদীকে বলেন, সময়ের সাথে সাথে মার্কেটে বেচাবিক্রি বাড়ছে। যদিও স্বাভাবিক সময়ের রমজানের তুলনায় তা অত্যন্ত কম। তারপরেও লকডাউন চিন্তা করলে ক্রেতার পরিমাণ খারাপ নয়। সরকার আগামী ৬ মে থেকে গণপরিবহন খুলে দিচ্ছে। তখন আশা করি ক্রেতা সমাগম আরো বাড়বে।
জেন্টেল ভিউ’র স্বত্বাধিকারী মোজাম্মেল রুবেল জানান, সারা বছর ব্যবসায়ীরা রমজান মাসের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু গত বছরের মত এবারও করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা লোকসানে আছেন।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল উদ্দিন বলেন, ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। আরো বাড়তো, যদি সরকার মার্কেট বন্ধ রাখার সময়সীমা অন্তত রাত ১১-১২টা পর্যন্ত করে দিত। দিনের বেলায় রোজা রেখে অনেক ক্রেতা মার্কেটে আসতে চান না। এখন সরকার নির্দেশনা দিয়েছে রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখা যাবে না, ফলে ইফতারের পর সময় খুব বেশি থাকে না।
জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল আমিন বলেন, ক্রেতা সমাগম বাড়ছে এটি আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। তবে এ বছরও করোনার জন্য খুব বেশি ব্যবসা হয়নি। তারপরও লোকসান কমিয়ে আনার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচালের বাজারে লকডাউন ও নতুন ধানের প্রভাব
পরবর্তী নিবন্ধখালেদাকে বিদেশ নেওয়ার সুপারিশ মেডিকেল বোর্ডের