রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুটি বেকারি গুড়িয়ে দিয়েছে এপিবিএন পুলিশ। অবৈধভাবে স্থাপিত বেকারি দুটিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও মানহীন খাদ্যপণ্য তৈরি করে তা বাজারজাত করছিল রোহিঙ্গারা। অভিযানের সময় বেকারি থেকে বিভিন্ন মালামাল, ডিপ ফ্রিজ, কম্পিউটার ও অনান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়েছে। কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার কুতুপালং-৫ ও ৮/ওয়েস্ট ক্যাম্পে এ অভিযানের কথা জানানো হয়েছে। বিকেল ৩ টা থেকে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত ইরানী পাহাড় পুলিশ ক্যাম্পের আওতায় এ অভিযান ও ব্লক রেইড চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভিতরেই আলাদা জগত তৈরি করছে। চলে তাদের নিজস্ব আইন কানুন, সালিশ বিচার, জরিমানা। কত রকমের যে অবৈধ ও বেআইনী কর্মকাণ্ড করছে তারও সঠিক কোন হিসেব নেই। উখিয়ার কুতুপালং থেকে টেকনাফের ৩৪ টি ক্যাম্পে কয়েক হাজার ইজিবাইক ও সিএনজি অটোরিকশা চালায় রোহিঙ্গারা। এসবের অধিকাংশের মালিকও তারা। এছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বানানো হচ্ছে বাংলাদশি বিভিন্ন ব্রান্ডের পানীয়, ভেজাল ইয়াবাসহ কতকিছু। তবে সেখানে অনুসন্ধান করে খবর নেয়ার তেমন সুযোগও নেই। রয়েছে চরম নিরাপত্তাহীনতা।
ইতিমধ্যে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, ইয়াবা তৈরির উপাদান, বাংলাদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ, কম্পিউটার, ল্যাপটপসহ কতকিছুই না জব্দ করেছে। এরপরও রোহিঙ্গাদের অবৈধ ও বেআইনি তৎপরতা থেমে নেই।
উখিয়া বণিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক বলেন, এগুলো আমাদের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকি। উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কর্মকাণ্ড অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। আমরা বারবার বলে আসছি রোহিঙ্গাদের আরও বেশি নজরদারিতে রাখা হোক। ক্যাম্পের ভিতরে শত শত সিএনজি ও ইজিবাইক রোহিঙ্গারা চালাচ্ছে অবাধে। আর স্থানীয় লোকজনের কোন গাড়ি ভাড়া নিয়ে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেই করা হয় নানা হয়রানি।












