কোর্ট হিলে আদালত ভবন এলাকায় আইনজীবী সমিতির ৫টি ভবনসহ সকল ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা অপসারণ এবং নতুন কোনো স্থাপনা নির্মাণ না করতে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে আইন মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।
গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব সাইফুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে অনুশাসন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বাস্তবায়নের অগ্রগতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে অবহিত করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠির অনুলিপি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কোর্ট হিলে অপরিকল্পিতভাবে মাত্রাতিরিক্ত অবৈধ স্থাপনার কারণে বর্তমানে পাহাড়ধস, ভূমিধস, অগ্নিঝুঁকি, নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের আগস্ট মাসের দ্বিতীয় পক্ষের পাক্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদনের আলোকে প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের ঝুঁকিপূর্ণ ৫টি ভবনসহ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং পরীর পাহাড়ে যাতে আর কোনো স্থাপনা নির্মিত না হয় সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণার্থে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা প্রদান করেন।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। বরং আইনজীবী সমিতি বৃক্ষ কর্তন করে সম্পূর্ণ অনুমোদনবিহীন একটি বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। সম্প্রতি সমিতি চট্টগ্রাম ওয়াসা এবং জেলা প্রশাসনের আপত্তি ও বাধাকে উপেক্ষা করে বেলে মাটির এ পাহাড়ে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে।’ এমন পরিস্থিতিতে পাহাড়ের ২ থেকে ৩টি স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন আজাদীকে বলেন, বুধবার (আজ) আমাদের সাধারণ সভা আছে। সেখানে জেলা প্রশাসকের কর্মকাণ্ড বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বিডিনিউজ জানায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, গোপনীয় প্রতিবেদনের আলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারও আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে গতকাল জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন এবং এখানে যত অবৈধ স্থাপনা আছে এগুলো অপসারণের জন্য। এবং এখানে যাতে আর নতুন কোনো স্থাপনা না হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য (নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে)। সংশ্লিষ্ট চারটি মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি করে আইন মন্ত্রণালয় এটি বাস্তবায়ন করবে।