কোরবানির বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন

| সোমবার , ১৯ জুলাই, ২০২১ at ৭:১১ পূর্বাহ্ণ

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অন্যতম উৎসব ঈদুল আযহা। এর প্রধান কাজ ঈদের নামায ও পশু কোরবানি। কিন্তু পশু জবাইয়ের পর যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করা। কোরবানির পরবর্তী সময়ে দেখা যাই পশুর রক্ত, ঘাস, লতাপাতা, নাড়িভুড়ি উচ্ছিষ্ট রাস্তা ঘাটে, নালা নর্দমায়, খোলা জায়গায় পড়ে থাকে। যা পচে চারিদিকে জীবাণু ও দুর্গন্ধ ছড়ায় পরিবেশ দূষিত করে। বর্জের চাপে নালা বা নর্দমা বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমাদের একটু অসচেতনতার কারণে দেখা দিতে পারে পরিবেশগত নানা সমস্যা, যা আমাদের জীবন যাত্রায় অস্বস্তিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। মনে রাখা দরকার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা যেখানে ইমানের অংশ সেখানে কোরবানির মতো মহা ইবাদত অপরিচ্ছন্নতার কারণ হতে পারে না। অন্যের যেন অসুবিধা না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখাতে হবে কোরবানিদাতাদের । শহরে কিংবা গ্রামে কোরবানির বর্জ্য গর্ত করে মাটি চাপা বা ডাষ্টবিনে নির্দিষ্ট স্থানে সময়মত ফেলে, পশুর রক্ত পানি, ব্লিচিং পাউডার ও অন্যান্য জীবাণুমুক্ত দ্রব্য দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত। তাই পরিবেশ দূষণমুক্ত ও জনস্বাস্থ্য নিরাপদ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে, তেমনি আমাদের পশুর উচ্ছিষ্ট বর্জ্য যেখানে সেখানে না ফেলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি পরিষ্কারে দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবকদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। কোরবানির আদর্শ ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে আমাদের মনে লুকিয়ে থাকা হিংসা ,ক্রোধ, পাশবিকতা ও পাপ চিন্তা দূর করি। মহান রব আমাদের কোরবানি যেন কবুল করে, বর্তমান করোনা মহামারি থেকে মুক্তি দেন।
মো. সাইমুন, শিক্ষার্থী, সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধহূমায়ূন আহমেদ : আধুনিক বাংলা কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ
পরবর্তী নিবন্ধমুজিব তুমি আবার এসো