মানুষ সামাজিক জীব। কিন্তু যখন মানুষ হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ সহ নানা অশালীন কর্মকাণ্ড করে বেড়ায়, তখন সে পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট প্রাণী হয়ে যায়। আর এসব কর্মকাণ্ড রোধ করতে, আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী সদা তৎপর। যে, অপরাধী সে কোনো মা-বাবার সন্তান, কারও ভাই-বোন,স্বামী, ছাত্র-শিক্ষক সহ নিকটতম আত্মীয়। হোক সে অপরাধী, তবুও তাঁর আকার গঠন তো বন্য প্রাণীর মত নয়। ভাবসম্প্রসারণে আছে, ‘বন্যরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’। রশি শোভা পায় পশুর জন্য। কিন্তু, সেই রশি দিয়ে অপরাধীদের কোমর- হাত বেঁধে পশুর মত টেনে নিয়ে আদালতে হাজির করা হয়, তখন তাঁর প্রিয়জনদের হৃদয় রক্তাক্ত হয়। প্রথমত তাঁরা লজ্জ্বিত অপরাধীদের কর্মকাণ্ডে। আবার নিষ্ঠুর আচরণে তারা ব্যথিত হয় সর্বদা। তাই আদালত যে রায় দিবে, সেটাই তাঁর প্রাপ্য শাস্তি। সুতরাং আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা যেন অপরাধীদের হাতে রশি বাদ দিয়ে সর্বত্র হ্যান্ডক্যাপ ব্যবহার করে।
মো. আব্দুল করিম গাজী
শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ।